বিশেষ সংবাদদাতা :
বেলা পৌনে ১১টা। রাজধানীর নীলক্ষেতের বাসস্ট্যান্ডে বাসের পাদানিতে দাঁড়িয়ে এক তরুণ কন্ডাক্টর উচ্চস্বরে সায়েন্স ল্যাবরেটরি, কলাবাগান, মিরপু বলে যাত্রী ডাকছিলেন।
কয়েক মিনিট ডাকাডাকি করে যাত্রী না আসায় কন্ডাক্টর বাস থেকে নিচে নেমে বেশ কিছুটা সামনে এগিয়ে আবার উচ্চস্বরে যাত্রী ডাকাডাকি শুরু করেন।
অদূরে এক যাত্রীকে এগিয়ে আসতে দেখে সে লটারি টিকিট পাওয়ার মত তাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বাসে তোলেন। পাঁচ ঘণ্টা আগে ভোর হলেও রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি খুবই কম। রাস্তায় হাতেগোনা কয়েকটি গণপরিবহন, প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা। অথচ দুদিন আগেও নীলক্ষেত মোড়ে এমন দৃশ্য ছিল কল্পনাতীত।
ঈদ উপলক্ষে নাড়ির টানে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে লাখ লাখ মানুষ গ্রামে চলে যাওয়ায় রাজধানীর এখন অনেকটাই ফাঁকা।
শুধু নীলক্ষেত মোড়ই নয়, জাগো নিউজের প্রতিবেদক আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন ধানমন্ডি, কলাবাগান, শুক্রাবাদ, সোবহানবাগ ,সায়েন্স ল্যাবরেটরি ,কাঁটাবন, শাহবাগ, প্রেস ক্লাব, পল্টন ও বাংলা মোটর, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন, অধিকাংশ রাস্তাঘাটে একেবারেই ফাঁকা, শুনশান নীরবতা বিরাজ করছে। অন্য সময় গণপরিবহনে সিট তো দূরের কথা, দাঁড়িয়ে থাকার মত জায়গাটুকুও মেলে না। কিন্তু আজ প্রায় সব গণপরিবহনে ঠিক ছিল ফাঁকা। বাসের ড্রাইভার ও বিভিন্ন স্টপেজ কয়েক মিনিট অপেক্ষা করেও যাত্রী দেখা পাননি। তবে রাস্তাঘাট ফাঁকা পাওয়ায় নগরবাসী খুবই খুশি।
কলাবাগানের বাসিন্দা গৃহবধূ আফসানা নূর জানান, গতকাল বৃষ্টির কারণে ও মেহমান থাকায় ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে পারেননি। আজ ওদের নিয়ে শ্যামলী শিশু মেলায় যাচ্ছেন। রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় খুব অল্প সময়ে সেখানে যেতে পারবেন বলে আশা করছেন।
শাহবাগে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শাহ আলম জানান, বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গাজীপুর যাচ্ছেন। রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় খুব অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ঢাকা শহরটা যদি সব সময় এমন থাকতো।