• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১২ পূর্বাহ্ন

‘ফণী’ মধ্যরাতে বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে

আপডেটঃ : শুক্রবার, ৩ মে, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

সন্ধ্যা নয় মধ্যরাতে বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে ‘ফণী’
শুক্রবার সন্ধ্যার কথা বলা হলেও এখন মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঘূর্ণিঝড়টি বিকেল নাগাদ ভারতের ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

এ ছাড়া শুক্রবারও পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজারে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে, দমকা বাতাসে সমুদ্রে উত্তাল ঢেউ লক্ষ্য করা গেছে।

শুক্রবার সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ সামান্য উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শুক্রবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৩৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার বিকেলে দিকে ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করতে পারে এবং পরবর্তী সময়ে ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে মধ্যরাত নাগাদ খুলনা ও কাছাকাছি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে। খুলনা ও কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার দুপুর নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কি.মি. যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

তিনি আরও জানান, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

অপরদিকে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘন্টায় ৮০ থেকে ১০০ কি. মি. বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহওয়া বিভাগ।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…