নিজস্ব প্রতিবেদক :-
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা এবার ৫ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১০ মে। ২০ হাজার পর্যন্ত প্রার্থী আছে এ রকম ৭ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপের পরীক্ষা।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠকে পরীক্ষার সময়সূচি, ওএমআর ফরম ডিজাইন ও মূল্যায়ন এবং ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১০ মে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। যেসব জেলায় লিখিত পরীক্ষা আগে শেষ হবে সেখানে আগেই মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল মান্নান বুধবার (২৪ এপ্রিল) বলেন, সব ঠিক থাকলে আগামী ১০ মে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার প্রার্থী বেশি থাকায় ৫ ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-১৮ লিখিত পরীক্ষা শুরুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। তবে এসএসসি পরীক্ষার কারণে সেটি পিছিয়ে মার্চে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় নিয়োগ পরীক্ষা ১৫ মার্চ শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে অধিদফতরকে নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে ১৩ মার্চ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ পালিত হওয়ায় ওই সময়ও পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, এবার নিয়োগ পরীক্ষা বুয়েটের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে নেয়া হবে। নির্ধারিত জেলায় পরীক্ষার আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে প্রশ্নপত্রের সব সেট পাঠানো হবে।
পরীক্ষার দিন সকাল ৮টায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হবে। এবার পরীক্ষা নেয়া হবে পৌর এলাকার মধ্যে। আবেদনকারীর আসন বুয়েট অত্যাধুনিক সফটওয়ারের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেবে। একই সঙ্গে আবেদনকারীর আসন বণ্টন অনুযায়ী প্রশ্নের সেট নির্ধারণ করে দেবে। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবার ২০ সেট প্রশ্ন তৈরি করা হবে।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। ১২ হাজার আসনের বিপরীতে সারাদেশ থেকে মোট ২৪ লাখ ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। সে হিসাবে প্রতি আসনে লড়বেন ২০০ প্রার্থী।