গাজী মমিন,ফরিদগঞ্জ:
চকলেট খাওয়ার লোভ দেখিয়ে ১ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কওমী মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তবে পুলিশ অদ্যবদি আবুল হোসেন নামে ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করতে পারে নি। বর্তমানে শিশুটি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার। জানা গেছে, উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের কাঁসারা দারুল উলুম মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক আবুল হোসেন রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদ্রাসার ছুটির পর ১ম শ্রেণির ৫ বছর বয়সি এক শিক্ষার্থীকে স্কুল ভ্যানের জন্য একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাকে মাদ্রাসার কক্ষে ডেকে নিয়ে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করে। পরে শিশুটি বাড়ি ফিরে গেলে তার চেহারা দেখে সন্দেহ এবং একপর্যায়ে তাকে গোসল কারানোর সময় তার গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হতে দেখে তার মা । বিষয়টি তার বাড়ির অন্যান্য লোকজনকে জানানোর পর তারা বিকালেই থানা পুলিশকে মৌখিক ভাবে অবহিত করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিশুটির মা থানায় মামলা দায়ের ( নং- ৪৭)করে। অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হোসেন উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) বাহার মিয়া জানান, মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।