গাজী মমিন, ফরিদগঞ্জ:
ফরিদগঞ্জে চলতি মৌসুমে আউস ধান উৎপাদনে লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়নি। জলাবদ্ধাতার কারণে আমন ধানের চারা রোপণে শংকিত হয়ে পড়েছে কৃষক। কৃষি অফিস আমন উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হওয়ার সম্ভাবনার আশা করছে। সময়মত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে এ বছর মাত্র ২‘শ ৫০ হেক্টোর জমিতে আউস ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করেও ব্যর্থ হতে হয়েছে কৃষি দপ্তরকে। গত বছর যেখানে ৬‘শ হেক্টোর জমিতে লক্ষ্যমাত্রারা নির্ধারণ করা হলেও লক্ষ্যমাত্রার বেশী অর্জিত হয়েছিল।
চলতি মৌসুমে আমন ধানের চারা রোপনে জলাবদ্ধাতার কারণে সমস্যা হচ্ছে। এখনও প্রায় ৪০ শতাংশ জমিতে চারা রোপন বাকি রয়েছে। বিশেষ করে ৩নং সুবিদপুর, ৪নং সুবিদপুর, ৫নং গুপ্টি ,৬নং গুপ্টি, ১০ নং গোবিন্দপুর ১১নং চর দু:খিয়া ইউনিয়ন এলাকায় জলাবদ্ধাতার কারণে চারা লাগানো যাচ্ছেনা। তবে কৃষি অফিস লক্ষ্যমাত্র অর্জিত হবে বলে দাবী করে। আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছে , ৯ হাজার ৪‘শ ৬৫ হেক্টোর জমিতে। সোমবার পর্যন্ত ৬৬শতাংশ জমিতে অর্থাৎ ৫ হাজার ৬‘শ ৭৯ হেক্টোর জমিতে আমনের চারা রোপন করার কথা জানায় কৃষি অফিস ।
উপজেলাটির বেশীর ভাগ এলাকা সিআইপি বেড়ি বধেঁর ভিতরে হওয়ায় জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই জরুরী ভিক্তিতে পানি অপসার করা হলে কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারবে। এক যুগ আগেও খাদ্যে উর্দ্ধৃত্ত উপজেলা হিসাবে চিহ্নিত ছিল । বর্তমানে আধুুিনক প্রযুক্তির ব্যবহার করেও খাদ্যে ঘাটতিতে পড়ার কারণকি ? এমনটাই প্রশ্ন অনেকের।
এদিকে কৃষকরা জানায় , কৃষিকর্মকর্তা কর্মস্থলে অবস্থা না করে লক্ষèীপুর জেলা সদরে অবস্থান করায় ,আমাদের প্রয়োজনে তাকে প্রায়ই পাওয়া যাচ্ছেনা। কৃষকদের মধ্যে মো. ইলিয়াছ, নুরুল আলম, জহিরুল ইসলাম , আ. কুদ্দুছসহ অনেকেই জানান, চলতি মৌসুমে আমরা জলাবদ্ধাতার কারণে আমন রোপনে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে। সিআইপি বাধেঁর ভিতরের পানি কৃষি দপ্তরের হস্তক্ষেপে পাউবিকে জরুরী ভিক্তিতে অপসারণ করার দাবী জানান। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামিল মাহমুদ জানান, জলাবদ্ধাতার জন্য কৃষকরা আমন রোপণ করতে পারছেনা।
এ বিষয়ে পানি অপসারনের জন্য পাউবিকে বলবো। তাছাড়া ২ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতিতে থাকার কথা নিশ্চিত করেন।