• মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২১ অপরাহ্ন

ফরিদগঞ্জে ব্রি-৪৮ ধান চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে হাঁসি

আপডেটঃ : বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০২১

গাজী মমিন, ফরিদগঞ্জ:
ফরিদগঞ্জে বোরো-আমন ধানের চাষ করে সফলতারপর এবার বাম্বপার ফলনের আশা করছেন ব্রি-ধান-৪৮ চাষি কৃষকেরা। এ উপজেলাতে এবছর ২২০হেক্টর জমিতে প্রায় ২শ কৃষক এ ধানের চাষ করেছেন।
স্বল্প সময়ে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-ধান-৪৮ প্রথমবারের মতো চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। অন্য ধানের তুলনায় এ জাতের ধানে ৩০-৪০ ভাগ পানি ও সার কম লাগে। এটির ফলন বেশি, খাটুনিও কম হওয়ায় তাছাড়া বাজারে ধানের দামও বেশি হওয়ায় কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। প্রতি একর জমিতে চাষ করে এ ধান হয় প্রায় ৩০ থেকে ৩২ মণ।
ব্রি-ধান-৪৮ আউশ মৌসুমে অত্যন্ত সম্ভবনাময় জাত, জীবনকাল কম, ফলন বেশি। এ জাতের বিশেষ গুণ হচ্ছে ব্রি-ধান ৪৮ এর গাছ শক্ত, তাই সহজে হেলে পড়ে না, ছড়ায় ধানের সংখ্যা বেশি এবং চিটার সংখ্যা খুবই কম। ফলে আউশ মৌসুমে এ জাতের আবাদ বৃদ্ধি করে এদেশের খাদ্য নিরাপত্তা আরও টেকসই করে বিদেশে চাল রপ্তানি করা সম্ভব হবে। আর উচ্চ ফলনশীল ফসলের গবেষণা কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে ও দেশের খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই হবে। এমনটাই বললেন কৃষি কর্মকর্তারা।
গত মঙ্গলবার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নে চর রাগব রায় গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন ও একই গ্রামের কৃষক মহি উদ্দিন বলেন, আমরা ব্রি-ধান ৪৮-এর চাষ এ বছরই প্রথম করেছি। তবে ধানের অন্যান্য জাতের তুলনায় এধানের ফলন অনেক বেশি হওয়ায় মাত্র ৩ মাস সময়ে ফলন এসেছে। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ।

 

উপজেলার ৪নং সুবিদপুর ইউনিয়নের ঘড়িহানা গ্রামের কৃষক মো. মোস্তফা জানান, প্রথমবারের মতো এ জাতের ধান চাষ করেছি। ক্ষেতে ব্যাপক ফসল হয়েছে।
উপজেলার ২নং বালিথুবা ইউনিয়নের সানকিসাইর গ্রামের কৃষক আব্বাস উদ্দিন মিয়াজী বলেন, তিন মাসের ফসল সময় লাগে কম । মৌসুমী ধান ফসলের কোন ক্ষতি হয় না। বরং খিল জমিতে বাড়তি ফসল হয় ।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামিল মাহমুদ বলেন, এ উপজেলাতে এবছর ২২০ হেক্টর আবাদি জমিতে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-ধান-৪৮এর চাষ হয়েছে। ব্রি-ধান-৪৮ এর ফলন তুলনামূলকভাবে বেশি। উচ্চ ফলনশীল ব্রি-ধান-৪৮ বীজতলা থেকে শুরু করে ধানকাটা পর্যন্ত ৯০ থেকে ১০০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। ব্রি-ধান-৪৮ আউশ মৌসুমে অত্যন্ত সম্ভবনাময় জাত, জীবনকাল কম, ফলন বেশি। এ জাতের বিশেষ গুণ হচ্ছে গাছ শক্ত, তাই সহজে হেলে পড়ে না, ছড়ায় ধানের সংখ্যা বেশি এবং চিটার সংখ্যা খুবই কম।
ক্যাপশন: ফরিদগঞ্জে চর রাগব রায় গ্রামের কৃষক মহিউদ্দিন ব্রি-ধান-৪৮ ধানের সোনালী ফসল কেটে মাড়াই করছেন। ছবি.গাজী মমিন।
ফরিদগঞ্জে ঘরিহানা গ্রামের কৃষক মোস্তফার কৃষিজমিতে ধুলছে সোনালী ফসল ব্রি-ধান-৪৮। ছবি.গাজী মমিন।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…