জিসান আহমেদ নান্নু,কচুয়া ॥
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল বাজারের বিভিন্ন স্থানে এখন আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। যার কারণে ক্রেতা, বিক্রেতা ও সাধারন মানুষেরা দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ। এদিকে বাজারের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা আবর্জনার স্তুপ দেয়ায় বেড়েছে মশা-মাছির চরম উপদ্রব। বাজারের ময়লা আবর্জনার কারনে সাধারন ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে চরম ভোগান্তি বিরাজ করছে। আবার ময়লা আবর্জনার মধ্যে ড্রেনের উপর টং বসিয়ে গরীব-অসহায় মানুষ গরুর মাংস বিক্রি করছে। দূষন আর দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং বাজারে আসা হাজার হাজার মানুষ রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে সাধারন মানুষ দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এই বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট-বড় অনেক খাল ছিল একসময় কচুয়ার প্রাণ। সে সময় ব্যবসায়ীরা এসব খাল দিয়ে নৌকায় মালামাল আনা-নেওয়া করতেন। ময়লা ও আবর্জনার কারনে কালের বিবর্তনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে খালগুলো।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনা ও বাজার কমিটির অবহেলায় প্রতিনিয়ত ময়লার স্তুপ থেকে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বাজারের প্রধান গলিতে নেই কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা। একটু বৃষ্টি হলে হাটু সমান পানি থাকে। এতে করে দূর্গন্ধ আরো বেশি ছড়ায়। অচিরেই এসব ময়লা আবর্জনার স্তুপ সরানো না হলে বিলীন হয়ে যাবে সুন্দরী খাল এবং বাজারের ঐতিহ্য।
এলাকাবাসী জানান, প্রতিনিয়ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য বাজারে আসতে হয়। কিন্তু ময়লা-আবর্জনার দূর্গন্ধে আসতে হিমসিম খাচ্ছি। ময়লার দূর্গন্ধের কারনে আমাদের শ^াস নিতে কষ্ট হয়। গত এক বছর ধরে এভাবে ময়লা আবর্জনার স্তুপ পড়ে আছে। দেখার কেউ নেই।
পালাখাল বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন বলেন, বাজারের পরিচ্ছন্নতা কর্মী চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ায় ময়লা আবর্জনা স্তুপ পরিস্কার করা যাচ্ছে না। তবে কিছুদিনের মধ্যে বাজার ও খালের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করা হবে। পাশাপাশি বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও সকল আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার স্থান নির্ধারণ করা হবে।

Share This post