গাজী মমিন,(চাঁদপুর)ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সালমা বেগম(২৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১মে) সকালে চরদু:খিয়া পূর্ব ইউনিয়নের আলোনিয়া গ্রামের গাজী বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধারের পর দুপুরে পোস্ট মটের্মের জন্য চাঁদপুর পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূ সালমার পিতা দেলোয়ার হোসেন আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ গৃহবধূর স্বামী তাজুল ইসলামকে আটক করেছে।
জানা গেছে, প্রায় সাত বছর পুর্বে পাশ^বর্তী রায়পুর উপজেলার কাজীরচর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বেপারির মেয়ে সালমার সাথে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১১নং চরদু:খিয়া পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিন আলোনিয়া গ্রামের গাজী বাড়ির তোফায়েল গাজীর ছেলে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি তাজুল ইসলামের পারিবারিক ও ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে তাসফিয়া নামে আড়াই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কয়েকমাস পুর্বে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সালমার পিতা জামাতাকে জমি ক্রয়ের জন্য আড়াই লক্ষ টাকা দেন। ঐ টাকা দিয়ে জমিটি সালমা ও তার স্বামী তাজুলের নামে অর্থ্যাৎ স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে ক্রয় করার কথা থাকলেও তাজুল ইসলাম নিজের নামে ৮ শতক জমি ক্রয় করে। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই কলহ হতো, এমনকি সালমাকে তার স্বামী তাজুল ইসলাম প্রায়ই শারিরিক নির্যাতন করতো। সেই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার (২০মে) রাতে বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সালমা আত্মহত্যা করে।
এরপরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে শুক্রবার (২১ মে) সকালে তার লাশ উদ্ধার করার পাশাপাশি তার স্বামী তাজুল ইসলামকে আটক করে। পরে সালমার পিতা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর দুপুরেই লাশটি ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে ও তাজুল ইসলামকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, লাশটি উদ্ধারের সময় গৃহবধূর স্বামী তাজুল ইসলামকে আটক করা হয়। সালমার বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। পরে শুক্রবার দুপুরে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে ও তাজুল ইসলামকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।