মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে ড্রাইভার মজনু হোসেন (২৮) ওরফে মজনু হত্যার রহস্য উদঘাটনের দ্বারপ্রান্তে পুলিশ। এই ঘটনায় রোববার বিকালে পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ড টোরাগড় আনোয়ার হোসেন মিজি বাড়ীর ডোবা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ।
এর আগে শনিবার হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আটক হত্যাকান্ডের শিকার মজনুর বড় ভাই মন্টু ও তার স্ত্রী শান্তা আক্তার, ছোট ভাই প্রবাসী মফিজের স্ত্রী মাহমুদা ও বড় ভাই কবিরের ছেলে সাইফুলকে দুইদিনের রিমান্ডে আনে পুলিশ। রিমান্ডে থাকা মাহমুদার তথ্য অনুযায়ী ডোবা থেকে চুরি, মোবাইল ফোন ও টর্চ লাইট উদ্ধার করে পুলিশ।
মজনুর পরিবারের অন্য সদস্যরা জানান, এই ঘটনায় তাদের পরিবারের চারজনকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে আমরা মাহমুদাকে সন্দেহ করেছি। পরে মাহমুদা আমার পরিবারের বাকীদের জড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছে। আমরা মাহমুদার দৃষ্ট্রান্তমুলক বিচার চাই। মজনুর মা রুপবান বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার বাবাকে যে খুন করেছে, আমিও তার খুন চাই। খুনের বদলা খুন চাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুর রশিদ সংবাদকর্মীদের জানান, মজনুর ভাবি মাহমুদার দেয়া তথ্যনুযায়ী ভবনের পাশের জানালা বরাবর ডোবা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলো উদ্ধার করে জব্দ তালিকায় দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, আশাকরি খুব শিগ্রই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের আনোয়ার মিজি বাড়ির একটি দোতলা ভবন থেকে হত্যাকান্ডের শিকার মজনুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগের দিন সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে ওই বাড়ির আনোয়ার মিজির ভবনে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।