• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন

কচুয়ায় প্রসন্নকাপ-চারটভাঙ্গা রাস্তা পাকাকরণের দাবীতে মানববন্ধন

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২০

কচুয়ার কান্দিরপাড়-চারটভাঙ্গা কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন। – ছবি মানব খবর

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
কচুয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা প্রসন্নকাপ-কান্দিরপাড়-চারটভাঙ্গা বাজার পর্যন্ত ২ কি.মি কাচাঁ রাস্তার কারনে ১০ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার লোকের চলাচেেল চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বহু প্রতিশ্রুতি ও বারবার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিনও পাকা হচ্ছে না কাচাঁ রাস্তাটি।
প্রায় ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে রাস্তাটি পাককরণ না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমসহ অন্যান্য সময় একটু বৃষ্টি আসতে না আসতে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রায় কাঁদা ডিঙিয়ে সীমাহীন দূর্ভোগের মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয় ও কলেজে যেতে হয়। রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে বলে দাবী করে এলাকার কয়েক শতাধিক সাধারন মানুষ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বুয়েটে কর্মরত মো. শাহজাহান প্রধানীয়া, চাঁদপুর জজ কোর্টের শিক্ষানবিশ আইনজীবী কামরুল হাসান,সাবেক ইউপি সদস্য মোখলেছুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুর রহমান, দুলাল হোসেন, আতাউর রহমান বাশার, যুবলীগ নেতা মাইন উদ্দিন ঢালী ও ছাত্রলীগ নেতা হারুনুর রশিদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, অবেহেলিত চারটভাঙ্গা-প্রসন্নকাপ সড়কে কিছু অংশ পাকা হলেও কান্দিরপাড় অংশে ২কি.মি রাস্তা পাকাকরণ হয়নি। ফলে এলাকার সাধারন মানুষ অতি কষ্টে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজকর্ম,মালামাল আনা নেয়া করতে হয়। বিশেষ করে এই এলাকাটি সীমান্তবর্তী এলাকা ও ঐতিহ্যবাহী ভোয়ালজুড়ি খাল সংলগ্ন হওয়ায় এলাকাবাসীর কাছে রাস্তাটি অনেক গুরুত্বপূর্ন। বিগত দিনে প্রসন্নকাপ উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ভাবে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থীসহ বয়োজৈষ্ঠ লোকজন পড়ে মারাত্মক আহত হয়েছে। তাছাড়া মা, বোনদের চলাচলে কিংবা গর্ভবতী ও অসুস্থদের চলাচলের ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
তারা বলেন, ক্ষমতার পালা বদলে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ আসে-যায কিন্তু রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ আজো কেউ নেয়নি। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি পাকাকরনে এগিয়ে আসতে জোর দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ জানান, আমার ইউনিয়নের এ রাস্তাটি অধিক গুরুত্বপূর্ন। রাস্তাটি এলজিইডির আওতায় হওয়ায় ক্ষুদ্র বরাদ্দ দিয়ে পাককরণ সম্ভব নয়।
উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণে প্রস্তাবনা দেয়া আছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…