মনিরুল ইসলাম মনির, মতলব উত্তর (চাঁদপুর) :
কৃষি প্রনোদনা ২০১৯-২০ সালের খরিপ-১ মৌসুমে পারিবারিক পুষ্টির আওতায় সবজি, পুষ্টি বাগান স্থাপনের জন্য কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সবজি বীজ, সাইনবোর্ড, ঘেড়া – বেড়া ও সার বাবদ অর্থ সহায়তা প্রদানের শুভ উদ্বোধন করেন- প্রধান অতিথি চাঁদপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য ও ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট মো. নুরুল আমিন রুহুল।
বৃহস্পতিবার (২জুলাই) বিকেলে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের বটতলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ. এম. জহিরুল হায়াতের সভাপতিত্বে ও উপ-সহকারি উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, ছেংগারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবদুল মান্নান বেপারী, মতলব উত্তর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক এডভোকেট মহসিন মিয়া মানিক।
কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, পারিবারিক কৃষির আওতায় সবজির পুষ্টি বাগান স্থাপন কার্যক্রম এ মতলব উত্তর উপজেলাতে ৪৪৮ টি পরিবারকে বীজ, সাইনবোর্ড ও মোবাইল ব্যাংক এর মাধ্যমে রাসায়নিক সার, জৈব সার এবং সবজি বাগান ঘেরার জন্য ১৯৩৫ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। বিতরণকৃত অর্থে বসতবাড়ির রোদযুক্ত উঁচু স্থানে ৬ মিটার লম্বা ও ৬ মিটার চওড়া জমি নির্বাচন করে পাঁচটি বেড তৈরি করতে হবে। যেখানে প্রতিটি বেডের প্রস্থ হবে ৮০ সে.মিটার এবং দুই বেডের মাঝখানে নালা থাকবে ২৫ সে. মিটার। সময়মত সার প্রয়োগ ও পরিচর্যা এবং রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধে আইপিএম বা সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দমন করতে হবে। এ ধরণের একটি পারিবারিক পুষ্টি বাগান পরিবারের সব সদস্যদের অংশগ্রহণে সহজেই গড়ে তোলা সম্ভব। পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাড়তি সবজি বিক্রি করে নগদ টাকাও পাওয়া যায়। তাই প্রত্যেকটি বসতবাড়িতেই এ ধরণের বাগান তৈরি করলে আমরা সবাই লাভবান হতে পারব বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে আলহাজ্ব এডভোকেট মো. নুরুল আমিন রুহুল বলেন, করোনা ভাইরাস জনিত মহামাড়িতে দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয় না হয় সে লক্ষে সরকার কৃষিতে সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ভাবে কৃষকদেরকে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজকের এ কৃষি সবজি বাগান স্থাপনের অর্থ বীজ ও উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সুস্থ ও সবলভাবে বেঁচে থাকতে পুষ্টিকর খাবার খেতেই হবে। একজন পূর্ণ বয়স্ক লোকের দৈনিক ২১৩ গ্রাম সবজি খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আমরা গড়ে মাত্র ৭০ গ্রাম শাক-সবজি গ্রহণ করি। যেহেতু সব বসতবাড়ির আঙ্গিনায় কম বেশি খোলা জায়গা থাকে। তাই সেসব স্থানে শাকসবজি চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি বাড়তি আয়েরও ব্যবস্থা করা যায়। তাই আপনারা সঠিকভাবে তা রোপন ও পরিচর্যা করে সবজি বাগানকে বাস্তবায়ন করে তুলবেন।
পরে প্রধান অতিথি চাষীদের মধ্যে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে বাস্তবায়িত ৪৪৮ টি পরিবারকে বীজ, সাইনবোর্ড ও মোবাইল ব্যাংক এর মাধ্যমে রাসয়নিক সার, জৈব সার এবং সবজি বাগান ঘেরার জন্য ১৯৩৫ টাকা বিতরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাইয়ুম চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান হোসেন রতন ফরাজী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আল মাহমুদ টিটু মোল্লা, এডভোকেট সেলিম মিয়া, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সভাপতি আবুল হোসেন ফরাজী, উপজেলা যুবলীগের সদস্য আশরাফুল ইসলাম মিলন’সহ নেতৃবৃন্দ।