• রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন

বাবা কতদিন দেখিনি তোমায় !! পরপারে ভালো থেকো বাবা

আপডেটঃ : রবিবার, ২৮ জুন, ২০২০

মানব খবর ডেস্কঃ

বাবা কতদিন দেখিনি তোমায়। কেমন আছেন বাবা ? আশা করি মহান আল্লাহতাআলা আপনাকে ভাল রেখেছেন ইনশাআল্লাহ এই দোয়া করি সবসময়। বাবা আজ অনেকদিন আপনার সাথে কথা বলতে পারছিনা। আপনার সাথে একদিন কথা না বললে আমি ও আপনি কেউই শান্তিতে ঘুমাতে পারতাম না। ঠিক সকালে কোন না কোন বাহানা করে কথা বলে নিতাম, সারাটা দিন ভালো কাটতো ।

এখন আর ফোন পাই না, তাই সারা রাত জেগে থাকি আর আপনার সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো ভেবে যাই। প্রিয় বাবা আপনাকে অনেক ভালোবাসি। আপনি ছিলেন শিশুদের মত সরল। আপনি কখনও আমাকে পড়াশুনার জন্য বকা দেননি। সারা জীবন আদর করেছেন কখনও কোন চাপ দেননি। সবসময় বলতেন আল্লাহ ভরসা সবকিছুর মালিক আল্লাহ, তিনি সব ঠিক করে দিবেন।

বাবা আপনি বলেছেন বাড়ি যেতে পারবোতো ? আমি বলেছি ইনশাআল্লাহ অবশ্যই পারবেন। কিন্তু বাবা আপনাকে সুস্থ ভাবে বাড়ি নিয়ে যেতে পারিনি। আপানি এই ভাবে চলে যাবেন কখনো ভাবিনি। বাবা আপনি  ICU তে রসগোল্লা আর পেঁপে খেতে চেয়েছিলেন কিন্তু আর খাওয়াতে পারলামনা। শেষ মুহুর্তে ( ICU ) আমরা আপনার পাশে ছিলাম না এই কষ্ট মেনে নিতে পারছিনা বাবা। আপনাকে সুস্থ করে বাড়ি নিতে পারিনি বাবা আমাদের ক্ষমা করে দিবেন।

আপনি ছিলেন বাবা হিসেবে অতুলনীয়, অনেক বড় মনের মানুষ, অনেক ব্যাক্তিত্ব সম্পুর্ণ মানুষ, অনেক পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করতে পছন্দ করতেন। আপনার পরিচয়ে মানুষ আমাদের চিনে, সারা জীবন আপনার পরিচয়ে বেঁচে থাকতে চাই বাবা। পরপারে ভালো থেকো বাবা, দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন আমিন।

এই শহরে কত মানুষ এই রাতে তার আপনজনকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতাল ঘুরে বেড়াচ্ছে শুধু একটু চিকিৎসার জন্য শুধু বাঁচানোর জন্য। বিপদে যারা পড়ছেন অনুভুতিটা শুধু তাঁরাই বুঝবেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সবাইকে সুস্থ রাখুক দোয়া করি, কেউ জেনো এই রকম বিপদ ফেইস করতে না হয়। ধনী গরীব সবাই এখন অনেক অসহায়।

যারা হাসপাতালের ইমারজেন্সীতে আছেন অন ডিউটিতে তাদের কাছে অনুরোধ রোগীদের এবং তাদের স্বজনদের সাথে একটু মানবিক আচরন করুন। সবাই কিন্তু বাঁচার জন্যই আপনাদেও কাছে যাচ্ছে । সব ইমারজেন্সীতে যদি সরকার কিছু প্রশাসনের লোক দিতেন তাহলে এই বিপদ গ্রস্ত মানুষ গুলো একটু হলেও সহযোগিতা পেতো।

একটু হলেও হাসপাতাল গুলোর ইমারজেন্সীতে মানবিক আচরন করতো তাহলে একটু হলেও স্বস্তি পেতো, আমরা একা না সরকার আমাদের পাশে আছেন। তাহলে এই বিপদের দিনে হয়তো বেঁচে যাবে অনেক পরিবার, বেঁচে যাবে অনেক জীবন এই ভয়াবহ করনার ছোবল থেকে।

হাটবাজার থেকেও বেশী দরকার সরকারী বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে প্রশাসন, পুলিশ, আর্মি, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার লোকজন শুধু রোগীদের নুন্যতম চিকিৎসার জন্য। এটা প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার । ভালো থাকুক বাংলাদেশ, ভালো থাকুক এ দেশের সকল মানুষ মুক্তি পাক পৃথিবী, আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন এই মহামারি হতে আমিন।

উল্লেখ্য চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোহাম্মদ এরশাদ হোসাইন তালুকদার গত ১৩ জুন ২০২০ রোজ শনিবার ঢাকার ইউনাইটেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইলাহির রাজিউন) ৷ মৃত্যূকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২বছর ৷ টোরাগড় গ্রামের মরহুম আবদুল কাদের তালুকদারের সুযোগ্য সন্তান  মরহুম আলহাজ্ব মোহাম্মদ এরশাদ হোসাইন তালুকদার, তিনি হাজীগঞ্জ সরকারী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের পরপর ৩ বার নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছিলেন ৷

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক রড় মসজিদে ১৩ জুন ২০২০বাদ আসর জানাজা শেষে উক্ত কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয় ৷ মৃত্যূকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, তিন ভাই নাতি নাতনিসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন ৷ সারা জীবন সফল ভাবে ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়ন মূলক কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন ৷


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…