নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
শাহরাস্তিতে ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের অসামাজিক কার্যকলাপের কারনে এক গৃহবধুর আর্তনাদ। শাহরাস্তি উপজেলার রায়শ্রী (দঃ) ইউনিয়নের বেরনাইয়া গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়া নামে এক অন্ধ ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে অসামাজিক কার্যকলাপের কারনে এক গৃহবধুর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার (উঃ) বেরনাইয়া গ্রামের তালুকদার বাড়ির হেলাল উদ্দীন কিরণের স্ত্রী লাভলী বেগম, একান্ত নিরুপায় হইয়া অত্র ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ শফিকুল ইসলামর নিকট আমার স্বামী অন্ধ হওয়ার কারনে কোনো কাজকর্ম করতে না পারায় সরকারি বিভন্ন সুযোগ সুবিধার জন্য মেম্বারের দারস্ত হইলে অত্র ইউপি মেম্বার মোঃ শফিকুল ইসলাম তাকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করে। কিছু দিন পর ইউপি সদস্য শফিকের বড় ছেলের সাথে আমার বড় মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করিলে আমার স্বামী ও আত্মীয় স্বজন মানিয়া নেয় নাই। আমার স্বামী অন্ধ ও অসুস্থ্য থাকার কারনে আমার ভাই ও আত্মীয় স্বজন আমার সংসারে আর্থিক সহযোগীতা করে যাচ্ছে। আমার ভাই ও আত্মীয় স্বজনের সহযোগীতায় আমার ছেলে বিদেশ যায়। আত্মীয়তার সূত্র ধরে অত্র ইউপি মেম্বার আমাদের ঘরে আসা যাওয়া করিতেছে। এমতাবস্থায় আমার স্বামীর নামে অন্ধ ভাতার কার্ড করিয়া দেওয়া সহ সরকারি বিভিন্ন সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। এ অজুহাতে অভিযুক্তকারী মেম্বার শফিক আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নেয় এবং আমার বড় মেয়ের স্বামী সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে, অত্র ইউপি মেম্বারের স্ত্রীর নিকট একটি অলিখিত দস্তখত নিয়া ২লক্ষ টাকা হাওলাত নেয়। পরবর্তীতে আমার সাথে আরো বিশ্বাস স্থাপন করিয়া আমাকে নিয়া গত কয়েক মাস আগে সরকারি ত্রান ব্যবস্থা করিয়া দেওয়া কথা বলে চাঁদপুরে নিয়ে যায়। সেখানে আমার মাথা ব্যথা অবস্থায় অচেতন করার টেবলেট খাওয়াইয়া আমার কাছ থেকে কয়েকটি অলিখিত কাগজে দস্তখত নিয়ে হোটেল ভাড়া করে রাত কাটিয়ে জোড় পূর্বক ভাবে ধর্ষন করে। অতপর পতারণার আশ্রয় গ্রহন করে জোড় পূর্বক ভাবে ধর্ষনের দৃশ্য ও বিভিন্ন অশালিন কথা র্বাতার অডিও ও ভিডিও রেকর্ড করিয়া রাখে। পরবর্তীতে আমাকে তার কথা ও শর্ত অনুযায়ী না চললে এবং বিভিন্ন অশালিন ভিডিও চিত্র দেখিয়ে অনলাইন ও মানুষের মোবাইলে ছড়িয়ে দিবে বলে হুমকি ধমকি ও প্রদান করে। আমাকে জিম্মি করে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং আমার হাওলাতি টাকা চাইলে অভিযুক্তকারী আমাকে বিবাহ করিয়াছে বলিয়া আমার নামে রেকর্ডকৃত অডিও ও ভিডিও সকলকে জানাইয়া আমার ঘর সংসার নষ্ট এবং টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা চালিয়া যাচ্ছে। এরই সূত্র ধরে গত ২১জুন মধ্যরাত ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ও তার সঙ্গবদ্ধ দল সহ আমার বসত ঘরে এসে আমার অন্ধ স্বামীর প্রতি সন্ত্রাসী কার্যকালাপ সৃষ্টি করিয়া আমাকে জোড় পূর্বক চিনিয়ে নেওয়ার আক্রমন করে এবং আমার বাড়ির গেইটে এলোপাতারি কয়েকটি রড, সেনি, লাটিচটা ও দেশীয় অস্ত্র, স্বস্ত্র নিয়ে বাড়ির গেইট ভাঙ্গচুর করে ক্ষতি সাধন করে। তখন আমার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসলে সফিক সন্ত্রাসী ও সঙ্গবন্ধ দল আমাকে হুমকি ধমকি দিয়ে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে। এছাড়াও আমার সম্পত্তি খারিজ করার নামে তাকে দায়িত্ব দিয়ে ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম প্রতারণার আশ্রয় গ্রহন করে আমার স্বামীর দেওয়া আমার নামে ৪২ শতাংশ সম্পতি আত্মসাৎ করার জন্য অলিখিত স্ট্যাম্পে আমার ও আমার স্বামীর কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়। তার এ কর্মকান্ডের বিষয়ে হুমকি ধমকিতে আমি আমার স্বামী ও পরিবারের লোকজন জীবনের নিরাপত্তা হিনতায় ভোগছি। এর থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সু-সৃষ্টি কামনা করছি। এ বিষয়ে ভোক্তভোগী লাভলী বেগম বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শাহরাস্তি থানার এসআই মোঃ গোলাম মোস্তফা ঘটনাটি তদন্ত করেন। অভিযুক্তকারী ইউপি সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, তার সাথে আমার র্দীঘদিনের সর্ম্পক এবং তার সাথে আমার এফিডেভিট এর মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয়। সে আমার বিবাহিত স্ত্রী। তাকে জোড় পূর্বক ধর্ষন সহ বিভিন্ন অভিযোগ তা সম্পন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।