ইকবাল হোসেন নামের অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ফৈলাকান্দি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে ঘটনা শিকার শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠাসোসো হয়েছে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, বৃহস্পতিবার ৯ বছরের বাকপ্রতিবন্ধী শিশুর বাড়ির পাশের বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে একই এলাকার রিকশাচালক ইকবাল হোসেন (৪৫)। ঘটনার শিকার শিশুটি বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের কিছুই বলতে পারেনি। তবে তার শারীরিক অসুস্থতা এবং আচরণে বুঝতে পারেন, মেয়ের সর্বনাশ করা হয়েছে। এ সময় শিশুটি আকার ইঙ্গিতে ইকবাল হোসেনকে দেখিয়ে দেয়। তার মা নিজেরও বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় ঘটনাটি নিয়ে বেকায়দায় পড়েন স্থানীয়রা। এই ঘটনার পর গ্রামে কয়েক দফায় সালিশের আয়োজন করেন স্থানীয় একশ্রেনীর পঞ্চায়েত। একপর্যায়ে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, কয়েকজন মিলে গতকাল মঙ্গলবার রাতে সালিশে এমন সিদ্ধান্ত নেন যে, অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে ১০১ জুতা পেটা দিয়ে গ্রাম ছাড়া করা হবে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত হয়ে আলাউদ্দিন সরকারসহ আরো কয়েকজন অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার সিন্ধান্ত নেন। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে নিয়ে যায়।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরউদ্দিন মৃধা জানান, গণধোলাইয়ের শিকার আসামিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় নির্যাতিতা শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই মেয়ে সন্তানের বাবা ধর্ষক ইকবাল হোসেন স্বভাব চরিত্র খারাপ থাকায় স্ত্রী তাকে ছেড়ে অন্যত্র চলে যান।