মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ
হাজীগঞ্জে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে একদিনে চারজন মারা গেছেন। রোববার মাত্র ৮ ঘন্টার ব্যবধানে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ২ জন, হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১জন এবং ১ জন নিজ বাড়িতে মারা যান।
নিহতরা হলেন, পৌর এলাকার মকিমাবাদ গ্রামের মো. আব্দুল কাদের (৬৫) ও মো. আবুল কাশেম (৪৮), খাটরা-বিলওয়াই গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম (৫৫) এবং বাকিলা ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের মোস্তফা কামাল (৬০)।
এর মধ্যে মোস্তফা কামাল ও আব্দুল কাদের চাঁদপুর সদর হাসাপাতালে মারা যান। আবুল কাশেম হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং রফিকুল ইসলাম নিজ বাড়ীতে মারা ইন্তেকাল করেন।
জানা গেছে, আজ সকালে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে আব্দুল কাদের পাটওয়ারী ভর্তির মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে মারা যান। তিনি করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন। নিহত আব্দুল কাদের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন মকিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।
একই হাসপাতালে উপজেলার বাকিলা এলাকার সাতবাড়িয়া গ্রামের মোস্তফা কামাল করোনার উপসর্গ নিয়ে সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে আসেন। আইসোলেশনে ভর্তির পর মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে তিনিও মারা যান।
অপর দিকে গত কয়েকদিন ধরে সর্দি-জ্বরে ভুগছিলেন রফিকুল ইসলাম। তিনি গত দুই দিন সুস্থ ছিলেন। আজ (রোববার) তিনি আবারো অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে তাকে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরিক্ষা দেয়া হয়।
রফিকুল ইসলাম পরীক্ষাগুলো করাতে হাজীগঞ্জ বাজারের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আসেন এবং নমুনা জমা দেন। পরবর্তীতে টেস্টের ফলাফল দিতে দেরী হওয়ায় তিনি বাড়ী চলে যান। বাড়ীতে গিয়েই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
অপর দিকে সন্ধ্যা ৭টার সময় হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মকিমাবাদ গ্রামের আবুল কাশেম জ্বর, সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে যাওয়ার পর তিনি হাসপাতালে মারা যান।
হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার পর অক্সিজেন দেয়ার পূর্বেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার ডায়াবেটিসও বেশী ছিল।