প্রতীকী ছবি
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বিরামপুরে মো. রুহুল আমিন (১৮) নামের এক তরুণ তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবর শুনে আইসোলেশন কক্ষ থেকে পালিয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ ও উপজেলা প্রসাশন বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে সারারাত অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি।
শুক্রবার (২৯ মে) রাতে একইর উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসোলেশন কক্ষ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য আনতে গেলে তিনি পালিয়ে যান।
মো. রুহুল আমিন (১৮) উপজেলার একইর গ্রামের মো. রবিউল ইসলামের ছেলে। তিনি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন।
এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সোলায়মান হোসেন মেহেদী বলেন, রুহুল আমিন গাজীপুর থেকে এলে তাকে একইর উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তত্ত্বাবধানে আইসোলেশনে রাখা হয়। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে তারসহ উপজেলার মোট তিনজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। রিপোর্ট পেয়ে উপজেলা প্রসাশন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন রুহুল আমিনকে চিকিৎসা সেবার জন্য আনতে যায়। কিন্তু ওই যুবকের তার করোনা পজিটিভ শুনে টয়লেটের কথা বলে প্রাচীর টপকে পালিয়ে যান।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ওই যুবককে চিকিৎসার আওতায় আনতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সারারাত অভিযান চালানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, উপজেলায় করোনায় আক্রান্তদের সবাইকে বিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ওই যুবককেও চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য একইর থেকে আনতে যাওয়া হয়। তিনি টয়লেট করার কথা বলে প্রাচীর টপকে পালিয়ে যান। পরে তাকে পেতে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ২১ জন। এর মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।