অমরেশ দত্ত জয়ঃ
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার মাত্র ২ ঘন্টা পর করোনার উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক সাংবাদিক মারা গেছেন।(ইন্না-লিল্লাহ…….. রাজিউন)।মারা যাওয়া ওই সাংবাদিকের নাম আবুল হাসনাত।
৩০শে মে শনিবার চাদঁপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তিনি মারা যান।
জানা যায়, সাংবাদিক আবুল হাসনাত প্রেসক্লাব ফরিদগঞ্জের দপ্তর সম্পাদক,দৈনিক সমাচার ও চাঁদপুর জমিন পত্রিকার ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে মারা যাওয়ার পূর্বে তিনি তার নিজস্ব ফেসবুকে একাউন্টে লিখেছেন ”আমার অবস্থা ভালো না,আমাকে সবাই মাফ করে দিবেন। আমার সন্তানদের একটু দেখবেন-আমিন”। এমন স্ট্যাটাস দেয়ার মাত্র দুই ঘন্টার পরেই তিনি এই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।
খবর নিয়ে আরো জানা যায়, চাঁদপুর ফরিদগঞ্জের ১নং বালিথূবা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের রাজাপুরের কারি বাড়িতে তিনি থাকতেন। তার পিতার নাম নোয়াব খান। মৃত্যুর পূর্বে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সাথেও জড়িত ছিলেন। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক, ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত প্যাণেলের সাবেক ভিপি পদপ্রার্থী, ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী গুণীজন স্মৃতি সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক আবুল হাসনাতের ২ দিন যাবৎ শরীরে জ্বর ছিলো। শুক্রবার রাতে আবুল হাসনাতের হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করা হয়। আর রাত আনুমানিক ২ টা ৫০ মিনিটে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এ ব্যপারে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনার লক্ষণ থাকায় তার স্যাম্পল কালেকশন করা হবে।পরে যথাযথ স্বাস্থবিধি মেনে সাংবাদিক আবুল হাসনাতের দাফন কাজ সম্পন্ন হবে।
এদিকে চাঁদপুরে এই প্রথম সাংবাদিক হিসেবে আবুল হাসনাত করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করলেন। যার এই করুন মৃত্যুতে তাই সাংবাদিকসহ সুধীমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।