ইমতিয়াজ সিদ্দিকী তোহাঃ
বদলে গেছে চাঁদপুরের শাহরাস্তির চিত্র। শুরু হয়েছে ঈদ উৎসবের আমেজ।চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা আতঙ্ক। সেই আতঙ্ককে বৃদ্ধাঙুল দেখিয়ে দিব্বি বাজারঘাট করছে শাহরাস্তির মানুষ। এমনকি থেমে নেই ঈদ কেনাকাটাও। করোনার ভয়াবহতার মধ্যেই শর্ত সাপেক্ষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খুলেছে দোকান-মার্কেট।যার চিত্র শাহরাস্তিতে ও। দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর এখানকার বাজারের মার্কেট ও কাপড়ের দোকানগুলোতে বিরাজ করছে কোলাহলমুখর পরিবেশ।
গায়ে গা মিশিয়ে, পায়ে পা লাগিয়ে অবিরাম চলছেন সবাই। সবার লক্ষ্য ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করা। অন্যান্য বছরের মতো না হলেও মোটামুটি কয়েকদিন দিনের ব্যবধানেই উপচেপড়া ভীড় হচ্ছে দোকানগুলোয়। এসব দেখে কারো মনে হওয়ার উপায় নেই যে দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলছে।
গেল কয়েকদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।এর মধ্যে বেরনাইয়া বাজার, খিলাবাজার, চিতোষীবাজার, সূচিপাড়া বাজার ও শোরসাকবাজার উল্লেখযোগ্য।
যেন করোনার আতঙ্ক মিলিয়ে গেছে। জমে উঠেছে বেচাকেনা। বিক্রেতাদের হাসিমুখই দিচ্ছে তার প্রমাণ। পোশাক এবং মোবাইল ফোনের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেশি।তবে সব ক্ষেত্রেই মহিলা ও শিশুদের ভীড় বেশি দেখা যাচ্ছে।
এসব বাজারের দোকান ও মার্কেটের ভিতরের অনেক জায়গায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। যদিও কিছু দোকানের প্রবেশপথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও। তবে মানুষের তুলনায় এ ব্যবস্থা অপ্রতুল। করোনার সংক্রমণ রোধে তিন ফিট দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও কোনো দোকানি বা ক্রেতা তা মানছে না। সাধারণ জনগণ জানান, এমন অবস্থায় অনেকেই প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে দোকানের শার্টার অর্ধেক খোলা রেখে চালিয়ে যাচ্ছেন বেচাবিক্রি। প্রশাসনের লোকজন দেখলেই তারা ভেতরে ক্রেতা রেখেই শার্টার টেনে দিচ্ছেন। অথবা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান। শুধু তাই নয় ফুটপাতেও বসেছে অজস্র দোকান। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা পেটের দায়েই দোকান খুলেছেন। দীর্ঘদিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করায় সেই ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও কমিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
এমন অবস্থায় উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে প্রশাসন শপিংমল, কাপড়ের দোকানপাটসহ সব বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের কারণে অর্থ দন্ডের পাশাপাশি দোকান বন্ধ করে দিয়েছে এবং পরবর্তি নির্দেশ না আসা পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এ ক্ষেত্রে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহআলম এলএলবি।তিনি জনগণের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২৪ ঘণ্টাই নিরন্তর ছুটে চলছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত।সচেতনতার পাশাপাশি দিচ্ছেন দিক নির্দেশনা।
এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার মিডিয়া কে জানান, সরকারি আদেশ অমান্য করে দোকান খোলার দায়ে ক্রেতা-বিক্রেতাকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন,আসলে যার যার অবস্থান থেকে সচেতন না হলে এই ঝুঁকি মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। আমরা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সর্তক করে দিয়েছি। তাতেও পরিবেশের উন্নতি না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।