নিজস্ব প্রতিবেদক :-
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরআন শরিফ ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল মন্তব্যকারী সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফু পরিবারের অবাধ্য বাবার ত্যাজ্যপুত্র। সেই ২৫ বছর পূর্বে তাকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেন তার বাবা হাজী আলী আকবর।
সেফু চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের চেড়িয়ারা গ্রামের মৃত হাজী আলী আকবরের পুত্র। তার বাবা তিনটি বিয়ে করেন। সব ঘর মিলে সেফুর ভাই-বোন ১৫ জনের অধিক। সেফুর আপন ভাই-বোনের সংখ্যা জানা গেছে ৮ জন। তবে কারো সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই সেফুর।
সেফুর একমাত্র সন্তান ইংল্যান্ডে থাকেন, তার স্ত্রী থাকেন ঢাকায়। প্রায় ২২ বছর আগে সেফু অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় চলে যান। পরিবারের অবাধ্য এই সেফু একজন বিকারগ্রস্ত প্রতিবন্ধী বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান।
শুক্রবার সকালে শাহরাস্তি উপজেলার চেড়িয়ারা গ্রামের সেফুদার চাচাতো ভাই রেদোয়ান হোসেন সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই সেফু পরিবারের অবাধ্য হয়ে চলতেন। পরিবারের কাছে জেনেছি, তাকে একবার পাগলা গারদ ও জেলখানায় রাখা হয়েছিল।
তার বাবা হাজী আলী আকবর তাকে কোনো সম্পত্তি দেননি। ত্যাজ্যপুত্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এমনকী হাজী আলী আকবর মারা যাওয়ার সময় দেশে আসেননি এই সেফুদা। পরিবারের কারো সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহুল আলোচিত-সমালোচিত সেফাত উল্লাহ সেফুকে দেশে অথবা বিদেশে আইনের হাতে তুলে দিতে পারলে ২ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননাকারী সেফাত উল্লাহ সেফুকে দেশ এবং বিদেশের মাটিতে যারা আইনের আওতায় সোপর্দ করতে পারবে, তাদের জন্য ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে।’
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে সেফাত উল্লাহ সেফু পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেন। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এদিকে সেফু শুক্রবার সেফু ফেইসবুক লাইভে এসে বলেন, এটি কোরআন শরিফ ছিল না। এটি একটি বই। এক কবি উপহার দিয়েছিল। তবে রাগে-ক্ষোভে কথাগুলো বলেছেন বলে তিনি দাবি করেন।