গাজী মমিন, ফরিদগঞ্জ:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ১০ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামে ড্রেজার মালিক ও প্রভাবশালীদের স্বেচ্ছাচারিতায় হুমকির মুখে পড়েছে বিপুল সংখ্যক কৃষি জমি। ফলজ ও বনজ বাগানঘেঁষা কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করায় বাগানসহ কৃষি জমিগুলো এখন ভাঙ্গনের হুমকির মুখে। এতে করে কৃষি জমি নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটছে অনেক কৃষকের।
প্রভাবশালীদের ভয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, ড্রেজারের মালিক জাকির ও প্রভাবশালী খোরশেদ আলম ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ইরি-বোরো ধানের জমির পাশথেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে করে যেকোন সময় আমাদের কৃষি জমিগুলো ভাঙ্গণের ঝঁকিতে রয়েছে। কৃষি জমি রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি আমরা।
বিষয়টি মাটি খননযন্ত্র বেবহারকারী এক কৃষি জমির মালিক খোরশেদ আলম জানান, আমার জমি থেকে আমি বালু উত্তলোন করছি। খননযন্ত্র ড্রেজার) চালিয়ে বালু উত্তোলন অবৈধ আপনার জানা আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসন থেকে আমার অনুমতি আছে।
একই চিত্র উপজেলার ৫নং ইনিয়নে শ্রীকালিা গ্রামে, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ওই এলাকায় কয়েকটি ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে বালু বিক্রির অভিযোগ রয়েছে কবির হোসেন ও সেন্টু নামক বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। ওই এলাকায় বিভিন্ন অযুহাতে একাধিক ড্রেজার চলমান রয়েছে।
৫ নং ইউনিয়নে ড্রেজিং কারনে ক্ষতিগ্রস্থ শাহ আলম, আলমগীর, আনোয়ারসহ বেশ কয়েকজন জানান, আমাদের সবুজ সমারহ দেশটি কৃষি বান্ধব দেশ,সোনালী ফসল উৎপাদনে এক সময় কৃষি উদপাদনে যে ভুমিকা রয়েছে, এ অবৈধভাবে ড্রেজার পরিচালনা করার কারনে আমাদের এ কৃষির উর্বর ভূমি গুলো দিন দিন নষ্ট হচ্ছে।
এবিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি জানান,ড্রেজার পরিচলানার কোনো অনুমতি আমরা উপজেলা প্রশাসন দেইনা। খোঁজ পেলেই আমরা ড্রেজারের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি। এ ধরণের কাজের সাথে সম্পৃক্তদের ছাড় দেয়া হবে না। যারা ড্রেজার পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।