গাজী মমিন, ফরিদগঞ্জ:
বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর সাথে তাল মিলিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, আর এই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিছু বিপদগামী মানুষ অবৈধ পন্তায় বিভিন্নভাবে প্রাকৃতিক সম্পদকে ধ্বংস করছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো সহজ উপায়ে ইলেকট্রনিক্স শর্ট সার্কিট দিয়ে মাছ শিকারের ফাঁদ। যার প্রবণতা বর্তমানে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় দৃশ্যমান। আবার এ ইলেকট্রনিক্স সার্কিট দিয়ে মাছ শিকারের বানানো ফাঁদে অনেক সময় নিজেরাও ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উপজেলার উত্তরাঞ্চল ৪নং সুবিদপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নুরপুর, উটতলী, বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে ইলেকট্রনিক্স সার্কিট দিয়ে অবৈধপন্তায় মাছ শিকারের প্রবনতা বেড়েই চলছে।
মাছশিকারের এই ফাঁদে ইতি মধ্যে মানুষ শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর মুখথেকে ফিরে এসেছেন উপজেলার নুরপুর গ্রামের ২ সন্তানের জনক ইদ্রিস বেপারী।
খবরপেয়ে ঘটনার স্থানে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২৪ ভোল্টের ব্যাটারি চার্জ দিয়ে ইনর্ভাটার মিশিনের মাধ্যমে ডিসিকে এসিতে রুপান্তর করা হয়। পবর্তিতে পানিতে নেগেটিভ আর লাঠির সাথে জাল বেঁধে ওই লাটির মাথায় বিদ্যুতের প্রজেটিভ লাইনটি দিয়ে পানিতে দেওয়া হয়। এসময় আশে-পাশের প্রায় ১৫-২০ ফিট পানি বিদ্যুতায়িত হয়ে ওই স্থানে থাকা জলজপ্রানিসহ সকল মাছ মারা যায়। আর এতেই বিলুপ্তি হচ্ছে নদীর বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
ঘটনার শিকার ইদ্রিস বেপারী জানান, আমি পানিতে ডুব দিলে তাদের নিয়ন্ত্রিত কারেন্টের আওতায় চলে যাই, এসময় ইলেকট্রিক শক খেয়ে আমার স্থাস্থ্যের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পেলি, পরে পানিতে শ্রোতে আমি অনেক দুরে গিয়ে কুলে বেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসাপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে ৪দিন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমাকে আরো ৩ মাসের চিকিৎসাদিয়ে ছুটি দিয়েছে ডাক্তার। বর্তমানে আমি ২ সন্তাননিয়ে অনেকটা কস্টে জীবন যাপন করেছি।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সদস্য রুহুল আমিন মুন্সি জানান, এখানে অনেকদিন ধরে মাছ শিকার করে আসছে তারা, তাদেরকে ডাকদিলেও শুনেনা, আমি চাই প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আকতার রুমা জানান, ইলেকট্রনিক্স সার্কিট দিয়ে এভাবে সরাসরি মাছ ধরার কোন অনুমতি নেই। বিষয়টা সম্পূর্ণ অবৈধ আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযানে বের হবো।