মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জ পৌরসভার অনিয়মিত কর্মচারী মো. হাতেম আলীকে বর্ণাঢ্য বিদায় সংবর্ধণা দিলেন মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্বেচ্ছায় অবসরজনিত তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও নগদ অর্থ প্রদান করেন তিনি। এ সময় মেয়রের নেতৃত্বে পৌরসভার সকল কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দাঁড়িয়ে তাকে সম্মান জানান।
এছাড়াও বিদায়ী কর্মচারী মো. হাতেম আলীকে জড়িয়ে ধরে পৌরসভা কার্যালয় থেকে সড়ক পথে নিয়ে আসেন, মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন। বিদায় বেলায় এমন ভালোবাসা ও সম্মান পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। এমন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত ভবিষ্যতে সকলের জন্য স্মরনীয় হয়ে থাকবে বলে মনে করেন সুধীজন।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, অনিয়মিত কর্মচারী হিসাবে মো. হাতেম আলী দীর্ঘ ১৯ বছর দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ছিলেন। চলতি বছর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে বেশ কয়েকবার চিকিৎসা নেন। কিন্তু তিনি সুস্থতা লাভ করেন নি। যার ফলে নিয়মিত চাকরি করাটা তার জন্য কষ্ঠকর হওয়ায় স্বেচ্ছায় চাকরি হতে অব্যাহতির আবেদন করেন হাতেম আলী।
এক প্রতিক্রিয়ায় হাতেম আলী বলেন, অসুস্থতার কারনে চাকরি হতে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছি। চিকিৎসাকালীন সময়ে স্যার (মেয়র) আর্থিক সহযোগিতা এবং মানসিকভাবে অনেক সাহস দিয়েছেন। এখন বিদায় বেলায় স্যার যে ভালোবাসা ও সম্মান দিয়েছেন, তা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি স্যারের কাছে ঋণী হয়ে গেলাম। এ সময় তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানান, হাজীগঞ্জ পৌরসভার ইতিহাসে এই প্রথম কোন অনিয়মিত কর্মচারীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানালাম। মো. হাতেম আলী প্রায় ১৯ বছর যাবত পৌরসভায় কর্মরত এবং পূর্বে তার বাবাও পৌরসভায় কর্মরত ছিল, শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্বেচ্ছায় আজকে চাকুরী থেকে বিদায় নিল।
তাই সকল কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অনিয়মিত কর্মচারীসহ সকলের সহযোগিতায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে (মো. হাতেম আলী) বিদায় দিলাম।
বাংলাদেশের সকল পৌরসভার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে তিনি আরো উল্লেখ করেন, যে সকল অনিয়মিত কর্মচারী দীর্ঘদিন কাজ করার পরে স্বেচ্ছায় বিদায় নিতে চায় তাকে শূন্যহাতে বিদায় না দিয়ে ন্যূনতম কিছু আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানান।