মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে আবারো ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে অবৈধ এক ড্রেজার ব্যবসায়ীকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ড্রেজার মেশিনটি জব্দ করেছেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। অবৈধ ড্রেজার দিয়ে কৃষি জমি ধ্বংসের অপরাধে সোমবার বিকালে উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন তিনি।
জরিমানাপ্রাপ্ত ড্রেজার ব্যবসায়ী হলেন, হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত মমিনুল হকের ছেলে মো. সেলিম (৬০)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই ইউনিয়নসহ আশপাশের ইউনিয়নে অবৈধ ড্রেজার ব্যবসার মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে কৃষি জমি ধ্বংস করে আসছেন বলে স্থানীয় ও এলাকাবাসীর অভিযোগ। যা বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর বিধি অনুযায়ী অপরাধ।
এর আগে একই অপরাধে গত ১২ আগস্ট উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান পাটওয়ারীর ছেলে অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী হুমায়ুন পাটওয়ারীকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও তার ড্রেজার মেশিনটি জব্দ এবং গত ৩ আগস্ট হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের পাতানিশ গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলামকে নগদ ১ লাখ টাকা জরিমানা ও তার ড্রেজার মেশিনটি জব্দ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এছাড়াও গত মাসে (জুলাই) ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৯টি অবৈধ ড্রেজার মেশিন জব্দ ও পৃথক পৃথকভাবে নগদ মোট সাড়ে ৬ লাখ জরিমানা করা হয়। এসব ভ্রাম্যমান আদালতে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করে হাজীগঞ্জ পুলিশ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, কৃষি জমি থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে কৃষি জমি ধ্বংস করার অপরাধে এদিন (সোমবার) বিকালে হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত মমিনুল হকের ছেলে মো. সেলিমকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ৫ (১) ও ১৫ (১) ধারা অনুযায়ী নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও ডেজ্রার মেশিনটি জব্দ করেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনা আক্তার।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে জনসচেতনতার লক্ষ্যে উপস্থিত লোকজন ও এলাকাবাসীকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ধারা (বিধিমালা) এবং ড্রেজারের ক্ষতিকর দিকগুলো উল্লেখপূর্বক বিভিন্ন দিক-নির্দেশনামূলক পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পুলিশের সহযোগিতায় জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই রকম অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।