• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ অপরাহ্ন

হাজীগঞ্জে জালসহ মাছ চোর চক্রের এক সদস্য আটক

আপডেটঃ : শনিবার, ২২ মে, ২০২১

মানবখবর : হাজীগঞ্জে পুকুরের মাছ চুরি করতে এসে জনতার হাতে আটক হয় ফেনির জেলার সোনাগাজি উপজেলার মাছ চোর চক্রের সদস্য সুনিল চন্দ্র দাস।

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :
হাজীগঞ্জে গভীর রাতে পুকুর থেকে মাছ চুরি করতে এসে চোর চক্রের এক সদস্যকে জালসহ আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। শুক্রবার দুপুরে আটক চোর সুনিল চন্দ্র দাসকে (৫২) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সে ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার কুটির হাট ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত সীতারাম দাসের ছেলে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের মালি বাড়ির পুকুর থেকে জালসহ মাছ চোর সুনিল চন্দ্র দাসকে আটক করে পুকুরের মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনু মিয়াজী। এই ঘটনায় সুনিল চন্দ্র দাসসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে শুক্রবার হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের (নং-১৫/১৪১) করা হয়েছে।
মাছের মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনু মিয়াজী জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ ও ২ টার দিকে মাছ দেখতে পুকুরের পাড়ে যাই। এ দিন কেন জানি মনে সন্দেহ জাগে, তাই আবারো রাত ৩ টার দিকে পুকুর পাড়ে আসি। এসেই টর্চ লাইট মেরে দেখি পুকুরে মাছে অসম্ভবভাবে লাফালাফি করছে এবং পুকুরের মাঝখানে বেশ কয়েকজন লোককে দেখা যাচ্ছে।
এ সময় আমি ডাক-চিৎকার শুরু করলে বাড়ির লোকজনসহ চারদিক থেকে লোকজন আসতে শুরু করে। আমরা তখন সুনিল চন্দ্র দাস নামের একজনকে আটক করি। অন্যরা পুকুরে জাল ফেলে রেখে পুকুর পাড়ে দাঁড়ানো ট্রাকে করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. সেলিম মিয়া ঘটনাস্থলে এসে সুনিলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটক মাছ চোর সুনিল জানান, প্রতিবেশী তথা মহাজন ধীরেন্দ্র দাসের ছেলে রিপন, কেশব দাসের ছেলে রুহিদাস দাস, বাদল দাসের ছেলে দিপু দাস মাছ ধরার জন্য তাকে হাজীগঞ্জে নিয়ে এসেছে। পুকুর পাড়ে এসে মহাজন জানায়, মাছের মালিক বলেছে, মাছ ধরা শেষে তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে আনতে। তারপরেই আমরা একত্রে হাজীগঞ্জের ধেররা পাইকারী মাছের বাজারে মাছ বিক্রি করতে যাবো। তিনি বলেন, তার আরো ৯ জন ছিলো। এ ছাড়া আরো ছিলেন মন্টু ও টিটু।
জাল উদ্ধার ও সুনিলকে আটককারী হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সেলিম মিয়া জানান, শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের ফোন পেয়ে আমরা পুকুর পাড়ে গিয়ে লোক নামিয়ে পুকুর থেকে মাছ ধরার বড় জালটিকে জব্দ করি এবং সুনিল চন্দ্র দাস নামের একজন জেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জানান, এই ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃত সুনিল চন্দ্র দাসকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন এবং অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহৃত আছে।

 


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…