গাজী মমিন,ফরিদগঞ্জ:
পাওনা টাকা চাওয়ায় পাওনাদার ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে দুই যুবক। এ যেন ‘চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি।’ দোকানে ইয়াবা পাওয়ার পর ব্যবসায়ীকে আটক করা হলেও ফরিদগঞ্জ থানার ওসির বিচক্ষণতায় ষড়যন্ত্রকারীরা দ্রুতই ধরা পড়ে।
ষড়যন্ত্রের শিকার ব্যবসায়ী জুলফু আলী এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের আলোকে জানা যায়, জুলফু আলী কামালপুর এলাকায় একটি মুদি দোকান পরিচালনা করেন। সাথে মাছ চাষও করেন। ঘটনার দিন ১০ মে সোমবার জুলফু আলীর অনুপস্থিতে তার দোকানে সিগারেটের প্যাকেটে পাঁচ পিস ইয়াবা রেখে দেয় ১নং বিবাদী আবুল কাশেম গাজী। পরে আবুল কাশেম গাজীর সহযোগী আব্দুল মতিন ফরিদগঞ্জ থানায় ফোন দিলে এ.এস.আই জামশেদসহ ৩ জন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ব্যবসায়ীকে আটক করেন। ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জুলফু আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন এবং আবুল কাশেমকে সন্দেহ করেন বলে তিনি জানান। তাৎক্ষণিক ওসি আবুল কাশেমকে থানায় ডেকে আনেন এবং তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে আবুল কাশেম ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করে। এসময় পুলিশ আবুল কাশেমের সহযোগী আব্দুল মমিনকেও আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
অভিযোগপত্রে জুলফু আলী আরো উল্লেখ করেন, আবুল কাশেমের কাছ থেকে দোকানের বাকী টাকা চাওয়াতে সে আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন,‘খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে জুলফু আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্দেহ হলে আবুল কাশেমকে থানায় ঢেকে আনা হয় এবং ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আবুল কাশেম তার ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করে। সেই সাথে তার সহযোগী আব্দুল মমিনের কথাও বলে।’