ইমতিয়াজ সিদ্দিকী তোহা
শাহরাস্তির টামটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বদলে দিলেন এবারের এসএসসি ফলের চিত্র। গ্রামের শিক্ষার্থী হয়ে ও যে ভালো ফলাফল অর্জন করা যায় তারা এবার তা বুঝিয়ে দিল। সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ও পরীক্ষার্থীরা তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
পদার্থ, রসায়ন,জীববিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ে ভালো করেছেন শিক্ষার্থীরা।সংশ্লিষ্টদের মতে,শিক্ষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ, অভিভাবকদের সচেতনতা,লেখাপড়ায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধির কারণেই এত ভালো ফল হয়েছে।
পরীক্ষার্থী১১৯জন। পাস করেছেন সবাই। এর মধ্যে আবার জিপিএ -৫ পেয়েছেন ১৪ জন,যার ১০ জনই গোল্ডেন জিপিএ -৫।সবাই বিজ্ঞান বিভাগের। বিজ্ঞান শাখার বাকি ১৭ জন এ গ্রেড ও ০৪ জন এ মাইনাস গ্রেড পেয়েছেন। অপরদিকে মানবিক শাখা থেকে এ গ্রেড ও ১০ জন, এ মাইনাস গ্রেড পেয়েছেন ১৫ জন,বি গ্রেড ০৫ জন ও সি গ্রেড ০১ জন পেয়েছেন। এছাড়া ও ব্যবসায় শিক্ষা থেকে এ গ্রেড ও ১৩ জন, এ মাইনাস গ্রেড ২৪ জন,বি গ্রেড ১২ জন ও সি গ্রেড পেয়েছেন ০৬ জন।
এমন সাফল্য যাদের,সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তো সবার সেরা হবেই।মহামারী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে এসএসসির ফলাফল ঘোষনার দিন সাধারন ছুটির কবলে ছিল দেশ। তাই সরকার অনলাইনের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করে গেল রবিবার ৩১ মে।
বুধবার দুপুর ১২ টায় টামটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল উৎসব উৎসব ভাব।ভালো ফলের উচ্ছ্বাস প্রকাশে বাধা হতে পারেনি মহামারী করোনা।যারা কোন বাধা না মেনে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা পেরিয়ে উচ্চ শিক্ষার দুয়ারে পা রাখতে যাচ্ছেন,তাদের কী বাঁধা যায়? সামাজিক দূরত্ব মেনে কয়েকজনের দেখা মেলে বিদ্যালয়ে।শিক্ষকরা ও তাদের কাছে পেয়ে আশীর্বাদ দিলেন তারা।
উম্মে মাইফুল বিজ্ঞান শাখা থেকে গোল্ডেন জিপিএ -৫ পেয়েছেন।ভালো ফলের কৃতিত্ব প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টামটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়কেই দিলেন উম্মে মাইফুল। টামটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের কারণেই এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ -৫ পেয়েছেন এমনটাই জানালেন নাজমুস সাকিব শুভ্র।শাহ আহম্মদ ফারহান জানালেন,টামটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রচেষ্টা ও পাঠদান পদ্ধতিই তাদের ভালো ফল এনে দিয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ উল্যাহ বিএসসি- বিএড জানান,শিক্ষক,শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সম্মিলিত চেষ্টাতেই সম্ভব এমন ঈর্ষণীয় ফল।