• রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন

হার দিয়ে শেষ হলো টাইগারদের পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ

আপডেটঃ : শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

 

 

ছবি: সংগ্রহীত।

মানবখবর ডেস্ক:

পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ২৭ রানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের দেয়া ১৬২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে ১৩৪ রান করে বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক টম ল্যাথামের ফিফটিতে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে পুরো ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করে টাইগাররা। এতে সিরিজ নিশ্চিত করা বাংলাদেশ ৩-২ ব্যবধানে শেষ করল।

কিউইদের দেয়া ১৬২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে আরও ৩ উইকেট খোয়ায় স্বাগতিকরা।

সিরিজের শেষ ম্যাচেও ব্যর্থ লিটন দাস। আগের দুই ম্যাচে ৬ ও ১৫ রানে আউট হওয়া এ ওপেনার এদিন ফেরেন ১২ বলে ১০ রান করে। সিরিজের প্রথম ৪ ম্যাচে সুযোগ না পেলেও শেষ ম্যাচে মাঠে নামেন সৌম্য সরকার। তবে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেননি এদিনও। কোল ম্যাককোঞ্চির বলে রাচিন রবীন্দ্রকে ক্যাচ দেন তিনি। ৯ বল খেলে মাত্র ৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। পরে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও ব্যর্থ হয়ে মাঠ ছাড়েন। ৮ বলে ৩ রান করে রবীন্দ্র শিকারে মাঠ ছাড়েন। দলীয় ৪৬ রানে শীর্ষ ৪ ব্যাটসম্যানকে হারায় বাংলাদেশ।

২১ বলে ৩টি চারে ২৩ রান করা নাঈম শেখ বেন সিয়ার্সের বলে বিদায় নেন। আর ১০ রান করে স্পিনার এজাজ প্যাটেলে বলে স্কট কুগেলিনের কাছে ক্যাচ দেন।

তবে শুরুর বিপদ সামাল দিয়ে পঞ্চম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশকে পথ দেখাতে থাকেন আফিফ হোসেন ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এই জুটি ঝড়ো ব্যাট করে ৪৩ বলে ৬৩ রান তোলেন। যেখানে মাহমুদুল্লাহ ২১ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২৩ রান করেন। কুগেলিনের বলে তুলে মারতে গিয়ে ফিন অ্যালেনকে ক্যাচ দেন অধিনায়ক।

এরপর নুরুল হাসান সোহান ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী এসে অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এজাজ প্যাটেলের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন ব্যক্তিগত ৪ রান করা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান সোহান। আর জ্যাকব ডাফির বলে বোল্ড হওয়া শামীম করতে পারেন মোটে ২ রান।

শেষদিকে তাসকিন আহমেদ ৪ বল খেলে ২টি চারে ৯ করে কুগেলিনের বলে বোল্ড হন। তবে নিজেকে ফের জানান দেওয়া তরুণ আফিফ ৩৩ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

কিউই বোলারদের মধ্যে এজাজ ও কুগেলিন ২টি করে উইকেট পান। একটি করে উইকেট দখল করেন ডাফি, কোল ম্যাককোঞ্চি, সিয়ার্স ও রবীন্দ্র।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে ৫.৪ ওভারে ৫৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুই ওপেনার ফিন অ্যালান ও রাচিন রবীন্দ্র। এরপর কিউই শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম।

ফিন অ্যালান ২৪ বলে ৪১ এবং রবীন্দ্র ১২ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফিরেন।

টানা দুই উইকেট হারানো কিউইদের আরও এক ধাক্কা দেন আফিফ হোসেন। পার্ট-টাইম স্পিনারের চতুর্থ বলে বিদায় নেন উইল ইয়াং (৬)। ১০ ওভার শেষে কিউইদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৮১ রান। এরপর সৌম্য সরকারের আগের ওভারে ছক্কা হাঁকানো কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে (৯) বিদায় করেন নাসুম আহমেদ। এ সিরিজে এ নিয়ে চতুর্থবার নাসুম আহমেদের শিকার গ্র্যান্ডহোম।

দ্রুত কয়েকটি উইকেট পড়ার পর কিউই ইনিংসের পুনর্গঠনের কাজটা করছিলেন টম ল্যাথাম ও হেনরি নিকোলস। দুজনের জুটিতে আসে ৩৫ বলে ৩৫ রান। ১৭তম ওভারে তাসকিনের বলে দারুণ এক ক্যাচে বিদায় নেন নিকোলস। অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন তিনি, বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নেন নুরুল।

সঙ্গী হারালেও রানের চাকা সচল রাখার কাজ চালিয়ে যান ল্যাথাম। কিউই অধিনায়ক শুরুতে দেখেশুনে ব্যাট করলেও ধীরে ধীরে হাত খুলতে থাকেন। তাসকিনের করা ১৯তম ওভারে বিশাল ২ ছক্কা ও ১টি চার হাঁকান তিনি। ওই ওভারে তার ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। এরপর শরিফুলের করা শেষ ওভারে সিরিজে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন কিউই অধিনায়ক। মাত্র ৩৭ বলে তার ঝড়ো ফিফটিতেই বড় সংগ্রহ পায় কিউইরা। ম্যাকনচি ১০ বলে ১৭ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।

টাইগারদের পক্ষে শরিফুল নেন ২ উইকেট। এছাড়াও ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন, নাসুম ও আফিফ।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…