চকবাজারের আগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে ভারতের ‘র’ এবং ইসরাইয়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ জড়িত বলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লা দাবি করেছেন। রাজনীতিবিদদের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে কী না সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী সাধারণ মানুষ। আগুন লেগেছে চকবাজারে অথচ রাজনীতিবীদের মাথা গরম হয়ে গেছে! চকবাজারের আগুন নতুন করে রাজনীতির মাঠকে উত্তপ্তই করেনি, একের পর এক অলীক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন রাজনীতির মাঠের খেলোয়ারগণ।
একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যে প্রকৃত ঘটনা যেন আড়াল না হয়ে যায়, তার জন্য অনুরোধ করেছেন দগ্ধ হয়ে হতাহত পরিবারের সদস্যরা। উনারা (রাজনীতিবীদ) এত কথা বলে শুধু নিজেদের বিতর্কই করছেন না একাধারে দেশের ভাবমূতিকেই হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন সামাজিক মাধ্যম ব্যাবহারকারী সাধারণ মানুষ।
এদিকে গতকাল শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘দেশে গণতন্ত্র নাই বলে চকবাজারে আগুন লেগেছে’ এমন বক্তব্যের সমালোচনাই করেননি শুধু কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। তিনি বলেন, চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি (মির্জা ফখরুল) বলছেন গণতন্ত্র নাই বিধায় চকবাজারে আগুন লেগেছে। চকবাজারে আগুনের সাথে গণতন্ত্রের কী সম্পর্ক আমি জানি না। তবে এ কথার মাধ্যমে এটি ব্যাখ্যা দেয়া যায় যে, পেট্রোলবোমার মতো এটার সাথে (চকবাজারে আগুন) তাদের (বিএনপির) কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
অপরদিকে রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সাথে চকবাজার অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে ভারতের গোয়েন্দা বাহিনীর সংস্থা ‘র’ এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ জড়িত বলে দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রবিবার পুরানা পল্টন মুক্তিভবনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি আয়োজিত পিলখানা ট্রাজেডি স্মরণে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পিলখানা ট্রাজেডির সঙ্গে চকবাজার অগ্নিকাণ্ডের যোগসূত্র রয়েছে দাবি করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভারতীয় নকল পণ্য এবং তাদের অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় একমাত্র প্রতিবন্ধকতা হলো কেরানীগঞ্জ ও চকবাজার। আমি মনে করি, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা গণহত্যা এবং ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে নাগরিকদের আগুনে পুড়িয়ে মারা ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। পিলখানা গণহত্যা ও চকবাজার অগ্নিকাণ্ড সমন্বয় ঘটিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী ‘র’ এবং তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদ।
এমন বাহাস আলোচনার অবসান চান সাধারণ মানুষ। এভাবে আর কত কাল একদল আর একদলের উপর দোষারপের রাজনীতি করবে প্রশ্ন আফসানা খানম নামে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীর। এমন জাতীয় দুর্যোগ সকলে মিলে সমাধানের পথ খোঁজ বের করতে হবে বলে জানান।