চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাই চেষ্টায় অভিযুক্ত পলাশ আহমেদকে ২০১২ সালে তরুণী অপহরণ ও ৮লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল র্যাব।
এর আগে, ঢাকা থেকে দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের ছিনতাইকারী কথিত মাহাদীর পরিচয় পাওয়া যায়। তার নাম মাহমুদ পলাশ (২৪)। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা গ্রামের পি আর জাহানের ছেলে পলাশ।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিডি২৪লাইভকে বলেন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে একটি তথ্য আসে যে মেহেদী বা মাহাদী হাসান নামের বা এ ধরনের কেউ দুবাই যাবে এমন কেউ সোনারগাঁওয়ে আছে কিনা। পাশাপাশি মৃতদেহের একটি ছবি পাঠানো হয়েছিল। ওই ছবি নিয়ে তিনি রাতে পলাশদের বাড়িতে গেলে তার পরিবার পরিচয় নিশ্চিত করে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুম বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমি শুনেছি ঘটনা সত্য। সে এই ইউনিয়নের ছেলে।
এদিকে, প্লেন ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারীর সঙ্গে ক্রিমিনাল ডাটাবেইজের একজন অপরাধীর তথ্যের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব সদরদফতরের মেজর রইসুল ইসলাম মনি।
র্যাব সদরদফতর সুত্রে জানা যায়, গতকাল কমান্ডো অভিযানে নিহত বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারীর ফিংগার প্রিন্ট অনুসন্ধানে, র্যাব ক্রিমিনাল ডাটাবেইজের একজন অপরাধীর তথ্যের সঙ্গে মিলে যায়।
র্যাব জানায়, ডাটাবেইজে রক্ষিত তথ্য অনুযায়ী তার নাম মো: পলাশ আহমেদ, পিতা পিয়ার জাহান সরদার। সে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের দুধঘাটা গ্রামে বসবাস করে। বিমানের পেসেঞ্জার লিস্ট অনুযায়ী সে আভ্যন্তরীণ রুটের (ঢাকা-চট্টগ্রাম) যাত্রী ছিল। তার সিট নং ছিল- ১৭ এ।