• শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন

কচুয়ার তথ্য আপা ১২ দিন অনুপস্থিত ॥ চিন্তায় উদ্বিগ্ন পরিবার

আপডেটঃ : সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধি ॥
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা তথ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা (তথ্য আপা) টানা ১২ দিন ধরে বিনা ছুটিতে কর্মস্থলে না এসে অনুপস্থিত রয়েছেন। গত ৮ জানুয়ারী দুপুরে তিনি নিজ কর্মস্থল থেকে গাজীপুরের বাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে আজও শ্বশুরালয়, পিত্রালয় ও কর্মস্থলে না আসায় এবং যোগাযোগ না করায়, মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের সদস্যদের মাঝে উদ্বিগ্ন দেখা দিয়েছে। তিনি কি আদৌ নিখোজ নাকি লুকোচুরি এ নিয়ে নানান গুঞ্জন চলছে।

 

জানাগেছে, কচুয়া তথ্য সেবা কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে একই বছরের ০২ ডিসেম্বর কচুয়ায় তথ্যসেবা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। কচুয়া অফিস সূত্রে জানাগেছে, ০৮ জানুয়ারী দুপুর আড়াইটার দিকে শারমিন সুলতানা তার কর্মস্থল থেকে অসুস্থ জনিত কারন দেখিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে যায়। পরে অদ্যবধি অনুপস্থিত রয়েছেন।

 

তার বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, শারমিন সুলতানা সম্প্রতি তার মায়ের সাথে অভিমান করেছে। সে গত কয়েকদিন আমাদের গাজীপুরের আমার বাসায় ও তার স্বামীর বাসায় যায়নি। ফলে আমি তাকে খুজতে রবিবার কচুয়া কর্মস্থলে এসেছি। তবে দু’এক দিনের মধ্যে সে (শারমিন সুলতানা) কর্মস্থলে আসবেন বলে তার সহকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি।

 

তবে সে কোথায় আছে তা জানিনা। কচুয়া তথ্য সেবা সহকারী নাদিয়া সুলতানা জানান, শারমিন সুলতানা আপা অসুস্থ্যতার কথা জানিয়ে অফিস থেকে বাসায় গিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ তিনি অফিসের টিএনটিতে ফোন দিয়ে অফিসের খোঁজ খবর নিয়েছেন। কিন্তু কোথায় আছেন, তার কিছুই বলেননি। বর্তমানে ওই নাম্বারটি বন্ধ রয়েছে বলে তিনি জানান।

 

জানাগেছে, কচুয়া তথ্য সেবা কর্মকর্তা (তথ্য আপা) শারমিন সুলতানা কচুয়া উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন কোয়া মিতা ভবনে দ্বিতীয় তলায় তথ্য কেন্দ্রের ভাড়া অফিসে কাজ কর্ম করতেন এবং অফিসের পাশেই ভাড়াটিয়া বাসায় থাকতেন। কিন্তু কি কারণে তিনি অফিসে নেই তার কারণ জানাতে পারেননি অন্যান্য সহকর্মীরা। মিতা ভিলার মালিক স্বপন কুমার জানান, তথ্য আপা আমার ভবনে অফিস ও বাসা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন আছেন। কিন্তু আমরা তার অনুপস্থিতির বিষয়ে কিছুই জানিনা।

 

এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপায়ণ দাস শুভ জানান, শারমিন সুলতানা অনুপস্থিতের বিষয়ে আমার কাছ থেকে কোন ছুটি নেননি। তবে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এবং রবিবার শারমিন সুলতানা তার নিজ বাসায় যাননি বলে তার বাবা আমাকে এসে জানিয়েছেন।

 

এদিকে কচুয়া তথ্য সেবা কর্মকর্তা শারমিন সুলতানার বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন মেয়ের খোঁজ নিতে রোববার কচুয়ায় এসে তাকে (মেয়েকে) না পেয়ে সোমবার গাজীপুরে চোখের জ্বলে ফিরে গেছেন। অপর দিকে তথ্য সেবা কর্মকর্তা শারমিন সুলতানার ব্যবহৃত মোবাইলে বক্তব্য জানতে বার বার চেষ্টা করেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…