কাশিপুর থানার এসআই মো. মাসুদ রানা জানান, শুক্রবার রাতে ওই এলাকার আব্দুল জলিলের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
প্রথমে তাদের স্থানীয় শেখ ফজিলাতুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে সেখান থেকে সকালে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
দগ্ধ আব্দুল জলিল বলেন, মশার কয়েল থেকে ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে ছেলে, মেয়ে ও মেয়েজামাই দগ্ধ হয়। আমি তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেও দগ্ধ হই। আগুনে মেয়ে ও জামাই বেশি দগ্ধ হয়েছে। মেয়ের শরীরের প্রায় ৮৭ ভাগ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এছাড়া আগুনে একটি টিভি বিস্ফোরিত হয়ে ঘরের দেয়াল ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছেন এসআই মাসুদ।
তিনি প্রাথমিক তদন্তের তথ্য দিয়ে বলেন, রাত ২টার দিকে মশার কয়েল জ্বলানোর সময় আগুন ধরে মুহূর্তের মধ্যে বিছানায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে এলাকাবাসী গিয়ে আগুন নেভায়। আর দগ্ধদের উদ্ধার করে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া বলেন, চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও জিয়াসমিনকে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।