• বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
হাজীগঞ্জে হাত-পা বাধা স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল থেকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে : ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ হোসাইন কচুয়ায় যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত হাজীগঞ্জে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত মতলব উত্তরে বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ৩ ডাকাত মতলব ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ সারা দেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনগণের প্রত্যাশা পুরণ করেছে : নুরুল আমিন রুহুল এমপি চাঁদপুরে মুজিবনগর দিবসে ৫ শতাধিক অসহায় পেল আ.লীগের ঈদ সামগ্রী কচুয়ায় কেন্দ্রীয় আ‘লীগ নেতার বিলবোর্ড ফেস্টুন ছিড়েছে দুর্বৃত্তরা

মতলব উত্তরে বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগ, কৃষকের মাথায় হাত

মুনছুর আহমেদ বিপ্লব
মুনছুর আহমেদ বিপ্লব
আপডেটঃ : শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৩

 

মনিরুল ইসলাম মনির
মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় কৃষক হতাশ। এবছর বোরো মৌসুমে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা খুশি। কিন্তু বাধ সেজেছে ব্লাস্ট রোগ। বোরো ধানে নেক ব্লাস্ট রোগে মহামারি আকার ধারণ করেছে।
বিশেষ করে বিআর-২৮ জাতের ধানে এ রোগের প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। ফলে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দিনে গরম-রাতে ঠান্ডা, কুয়াশা, অতিবৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়ার কারণে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে বোরো ধানে ব্যাপকভাবে নেক ব্লাস্ট ও লিফ ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
সোনার ধানে লেগেছে ব্লাস্ট রোগ। মাঠের পর মাঠ, ধান ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রায় পাকা ধান ক্ষেতে হঠাৎ করে ব্লাস্টের আক্রমণ নিরুপায় করে তুলছে চাষীদের। দেখে মনে হবে পেকে গেছে ক্ষেতের ধান। না, এ ধান পাকেনি। ব্লাস্ট আক্রমনে অকালেই এ রকম সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে এ জমির ধান। ধানের শীষে কোন ধান নেই। আছে চিটা। ধান কেটে গরুর খাবার করছেন চাষীরা। পরিশ্রমের ফসলের এ হাল দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মতলব উত্তর উপজেলার তালতলী, কলাকান্দা, ঠাকুরচর, গজরা, সুজাতপুর, নাথুতহশিলদার কান্দি, আদুরভিটি বিলে সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু নেক ব্লাস্ট রোগ ও লিফ ব্লাস্ট রোগ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় কৃষকের মুখের হাসি ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
আদুরভিটি গ্রামের কৃষক শাহজালাল (৫২) বলেন, আমি ১ একর জমিতে বিআর-২৮ ধান করেছি। নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় কৃষি অফিসের পরামর্শে চার বার স্প্রে করার পরও কোন প্রতিকার পাইনি। এখন আমার কি হবে? এক মুঠো ধানও পাবো না। তিনি জানান, আদুরভিটি, দেওয়ানজিকান্দি, ঠাকুরচর বিলে প্রায় ২০ একর জমিতে নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
নাথতহশিলদারকান্দি গ্রামের খোরশেদ আলম মিজি (৫০) জানান, এমন কোনো ধানের জমি নেই যেখানে ধানে নেক ব্লাস্ট ও লিফ ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়নি। এ রোগ দিনের পর দিন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে এ মৌসুমে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পারবে না।
দেওয়ানজিকান্দি গ্রামের কৃষক দুলাল মিয়া (৬২) জানান, ধানে নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর এক পর্যায়ে ধানের পাতা ঝলসে যায়। এ ছাড়াও ধান সাদা হয়ে চিটা হয়ে যায়। পাতা ঝলসে যাওয়া ও ধান চিটা হয়ে যাওয়া এ রোগকে কৃষি বিভাগের লোকজনরা লিফ ব্লাস্ট রোগ বলে দাবী করছে।
মতলব উত্তর উপজেলার কৃষি ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গন মাঠে ছুটে গিয়ে কৃষকদেরকে উপরোক্ত রোগ হতে ধান রক্ষায় প্রয়োজনীয় (সঠিক) কীটনাশক ঔষধ প্রয়োগের জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন জানান, যেসব কারনে নেক ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে কৃষকদের প্রয়োজনীয় (সঠিক) কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মাঠ দিবস করে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরোও জানান, ধানের জমিতে রোগ হোক বা না হোক শীষ বের হওয়ার আগেই জমিতে সঠিক কীটনাশক পরিমাণ মতো মিশিয়ে ৭ দিনে দু’বার প্রয়োগ করতে হবে।

Share This post


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুকে মানব খবর…