মতলব উত্তর প্রতিনিধি : মতলব উত্তরের ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের বড়হলদিয়া গ্রামে প্রকৃতিক নির্মল উম্মুক্ত পরিবেশে নির্মাণ করা হয়েছে নান্দনিক একটি মসজিদ। নাম দেয়া হয়েছে ‘বড়হলদিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ’।
১লা মার্চ ২০১৯ (শুক্রবার) পবিত্র জুম্মা নামাজের খুৎবা প্রদান পূর্বক জুম্মা জামাতের ইমামতি করার মাধ্যমে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত নব নির্মিত সুদৃশ্য জামে মসজিদটির উদ্বোধন করেন চাঁদপুর-২ আসন এর সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল।
নবনির্মিত জামে মসজিদটির উদ্বোধন ঘোষনা করে সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল বলেন, এলাকার জনগনের সার্বিক সহযোগীতায় দৃষ্টিনন্দিত আল্লাহর ঘর জামে মসজিদে যতদিন মুসল্লিরা নামাজ আদায় করবেন, ততদিন অত্র এলাকার দ্বীনদার মানুষরা ছওয়াবের ভাগীদার হবেন। কাল কেয়ামতের কঠিন হিসাব নিকাশের দিনে অত্র মসজিদ এলাকার মানুষদের নাজাতের উছিলা হওয়ার জন্য তিনি মুুনাজাত করেন।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক ধর্মের মানুষই এদেশে স্বাধীনভাবে তার নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে। এটাই ছিল জাতির পিতার চেতনা এবং চিন্তা। তাই তিনি বলেছিলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়, বরং ধর্ম পালনের স্বাধীনতা। যেটা ইসলামেরও মূল কথা। কারণ, ইসলাম ধর্ম সকল ধর্মকে সম্মান করে। বাংলাদেশ সেভাবেই একটি অসম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে উঠবে, আমরা সেটাই চাই। আমরা চাই বাংলাদেশে কোন সন্ত্রাস,জঙ্গিবাদ ও মাদক থাকবে না। প্রতিটি মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। তাঁদের আর্থসামাজিক উন্নতি হবে এবং বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠবে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম নিজস্ব অর্থায়নে এই মসজিদটি নির্মান করেছেন। ১৪ শতাংশ জায়গার মধ্যে এই মসজিদটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় কোটি টাকা। দূর থেকে মসজিদটি দেখলে দেখতেই ইচ্ছে করবে। মসজিদের সামনে অর্থাৎ মূল প্রবেশ দ্বারে কারুকাজ ও থাই গ্লাস দিয়ে বেষ্টিত। মসজিদের উপরেই রয়েছে ছোট একটি গম্বুজ। কারুকাজ মন্ডিত এ মসজিদ দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই আসছেন।মসজিদের চারদিকে রয়েছে বাউন্ডারি। মসজিদের দেয়াল থাই গ্লাসে আবৃত। মসজিদের সামনের দক্ষিণ দিকে মুসুল্লিদের জন্য রয়েছে অজুখানা। অপর পাশে রয়েছে টয়লেট। ইমাম সাহেবের জন্য বিশ্রামাগারও নির্মাণ করা হয়েছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়রাম্যান মনজুর আহমদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শহীদ উল্ল্যা মাষ্টার, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, শাহাবাগ থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, মতলব উত্তর উপজেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম জাহাঙ্গীর মাষ্টার, শাহাজাহান প্রধান, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নির্বাহী কমিটির সদস্য রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, আ’লীগ নেতা কাজী মিজানুর রহমান, শিল্পপতি আ. সোবাহান রানা, শিল্পপতি মাহবুবুর রহমান সেলিম, গিয়াস উদ্দিন গাজী, ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. আলাউদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা বশির প্রধান, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল মাহমুদ টিটু মোল্লা, যুবলীগ নেতা মো. শাহ আলম, সাবেক মহানগর ছাত্রলীগ নেতা হারিছ মাহমুদ দীপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বোরহান উদ্দিন ডালিম, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. সেলিম মিয়া’সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।