নিজস্ব প্রতিবেদক
মানবপাচারকারী চক্রের সহযোগী ও স্বজনদের নির্বিচার গুলিতে লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ অভিবাসী শ্রমিক প্রাণ হারানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে । পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে তারা। একইসঙ্গে হতাহতদের পরিবার যেন ক্ষতিপূরণ পায়, সেজন্য লিবিয়ার সরকারের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যোগাযোগসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।
শুক্রবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা সাঈদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানবপাচারকারী চক্রের পরিবারের সদস্য কর্তৃক লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ অভিবাসী শ্রমিককে গুলি করে হত্যার ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং এর তথ্যানুসন্ধান হওয়া আবশ্যক।
‘কমিশন ওই ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের ক্ষতিপূরণের জন্য লিবিয়ার সরকারের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যোগাযোগসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।’
মর্মান্তিক ওই ঘটনায় যারা বেঁচে আছেন তাদের চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিও আহ্বান জানায় কমিশন।
লিবিয়ার সংবাদমাধ্যম জানায়, বৃহস্পতিবার ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ অভিবাসী শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে মানবপাচারকারী চক্রের এক সদস্যের সহযোগী ও স্বজনরা। নিহত বাকি চারজন আফ্রিকান। আহত হয়েছেন আরও ১১ বাংলাদেশি। ওই বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের মিজদা শহরের একটি জায়গায় টাকার জন্য জিম্মি করে রাখে মানবপাচারকারী চক্র। এ নিয়ে এক পর্যায়ে ওই চক্রের সঙ্গে মারামারি হয় অভিবাসী শ্রমিকদের। এতে এক মানবপাচারকারী মারা যায়। তারই প্রতিশোধ হিসেবে সেই মানবপাচারকারীর পরিবারের লোকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, লিবিয়ার মিজদা শহরের এক নাগরিক অবৈধ অভিবাসীদের উপকূলীয় শহরে পাচারকালে তাদের হাতে নিহত হন। এতে ওই ব্যক্তির স্বজনেরা আইন নিজেদের হাতে তুলে নেন এবং বাংলাদেশের ২৬ জন ও আফ্রিকার চারজনকে হত্যা করে।