ফাইল ছবি
মানবখবর ডেস্ক:
এ পর্যন্ত দেশে প্রায় ২৬ লাখ মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। টিকার এই ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৪। এরমধ্যে পুরুষ ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৭৯৯ এবং নারী ৮ লাখ ৯৭ হাজার ২৮৫ জন। এদিকে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৬১৬ জন। এরমধ্যে ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৭৪৬ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৮৭০।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৭২ লাখ ৪০ হাজার ৮২ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬১ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭৪ হাজার ৯৩৪ এবং নারী ৪৫ হাজার ৯২৭ জন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩২৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১৩০ এবং নারী ১৯৫ জন। এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৫ হাজার ৩৭৫ জন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮২ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৭ হাজার ৯৬৭ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৬ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৬২৫ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২২৫ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৪৭ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৯৯০ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেনকরোনা ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬২৩ জন, প্রথম ডোজ ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৪ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৩১ হাজার ৩৬৪ জন, প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৭ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৫৬ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ৫১ হাজার ৩৪২ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৪৭ জন, প্রথম ডোজ ৩ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ৬০দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। দেশে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সূত্র: বাসস
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com