জিসান আহমেদ নান্নু,কচুয়া ॥
আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দল যাকে দলীয় প্রতীক দিবে এমন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার এবং যোগ্য ও ত্যাগী চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্ধারনের লক্ষ্যে বিশেষ আলোচনা সভা করেছে কচুয়ার ৭নং সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার বিকালে কচুয়া বিশ^ারোডস্থ জমজম চাইনিজ হোটেলে আয়োজিত এ বিশেষ আলোচনা সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লিটন মুন্সীর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মেম্বারের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মো: আব্দুল জব্বার বাহার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ সদস্য জোবায়ের হোসেন তালহা,সদর ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন লিটন,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একক মনোনয়ন প্রত্যাশী সৈয়দ রবিউল ইসলাম রাসেল,উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজগর,উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো: সিরাজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন,আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. বাবুল হোসেন বাবু,সাবেক সেনা সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল মিয়া,চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন সজীব,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য মাসুদ আলম মিয়াজী,ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন,ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো: মোশারফ হোসেন, সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন লিটন,ইউপি সদস্য শরীফুল ইসলাম মানিক,নাজমুল হাসান,আব্দুল খালেক,ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসবেক লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রধান প্রমুখ।
আলোচনা সভায় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন লিটনের উপস্থিতিতে উপজেলা যুবলীগের ত্রান ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন সজীব তার বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন লিটনের কাছে ঠিকাদারী কাজের পাওনা টাকার কপিয়েত চান। একে একে ইউপি সদস্য নাজমুল হাসান,আব্দুল খালেক,ছাত্রলীগ নেতা মোশারফ হোসেনসহ একাধিক নেতাকর্মী ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন লিটনের কর্মকান্ড বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তুলে বক্তব্য দেন। বক্তব্যের কিছু সময় পর ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন লিটন সভা ত্যাগ করেন।
ইউপি সদস্য নাজমুল হাসান ও আব্দুল খালেক তাদের বক্তব্যে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন লিটন একজন দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েও বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের তোয়াক্কা না করে অর্থের বিনিময়ে ইচ্ছামতো কাজ কর্ম করে থাকেন। অর্থ নিয়েও ইউপি সদস্য নাজমুল হাসান,শরীফুল ইসলাম মানিক ও আব্দুল খালেকসহ একাধিক মেম্বারকে কাজ দেননি বলে তারা দাবী করেন। এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে কিছুদিন পূর্বে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাজে লিখিত অভিযোগ করেন বলেও তারা দাবী করেন। তাদের এমন বক্তব্যে পুরো হলরুমে আলোচনা সভায় হৈ চৈ শুরু হয়।
ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো: সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি এজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। মুক্তিযোদ্ধা হয়েও আমার বাবা ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজনের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, সময় এসেছে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একজন ভালো মনের চেয়ারম্যান নির্ধারণ করার। আমি রাজনৈতিক বৃহত্তম স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দল ও কচুয়ার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনে জননেতা ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো: গোলাম হোসেনকে এক মঞ্চে বসার আহ্বান জানান তিনি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রত্যাশী সৈয়দ রবিউল ইসলাম রাসেল বলেন, ঐক্যের বিকল্প নেই। প্রয়োজনে আমি ইউপি চেয়ারম্যান হতে চাইনা। ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একজন ভালো মানুষকে আগামী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে পেতে চাই। এক্ষেত্রে দল ও মানণীয় নেত্রী যাকে নৌকা প্রতীক দিবে আমি তার জন্য কাজ করব।