ক্যাপশন : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার নব-নির্বাচিত মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন।
মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন বিজয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন। শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ বিষয়ে বেসরকারী ভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন।
বিজয়ী প্রার্থী আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপনের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২৩৬৫৭। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান খাঁন বাচ্চু পেয়েছেন ১১৫৪৯। তাদের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ১২১০৮ ভোট। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পৌরসভার ২০টি কেন্দ্রের স্থায়ী ১২৮টি ও অস্থায়ী ১৯টি ভোটকক্ষে টানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ন ভাবে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মেয়র পদে কোন সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে কেন্দ্র দখল করে ধানের শীষের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ আনেন, বিএনপির প্রার্থীর আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান খাঁন বাচ্চু। এ ছাড়াও তিনটি কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীদের সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল পদে ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডে রোকেয়া বেগম আনারস প্রতীকে ৪৫৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজলী রানী সরকার চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪২৮ ভোট। ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে মমতাজ বেগম মুক্তা জবা ফুল প্রতীকে ৪৪৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাহিদা বেগম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩২৪০ ভোট।
৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে মিনু আক্তার মিনু জবা ফুল প্রতীকে ২০৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরা বেগম পেয়েছেন টেলিফোন প্রতীকে ১৬৬৪ ভোট। ১০, ১১ ও ১২নং ওয়ার্ডে নাজমুন নাহার আক্তার ঝুমু আনারস প্রতীকে ২৮১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিবি হাওয়া চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ১১৬৪ ভোট।
সাধারন কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে মাইনুদ্দিন পাঞ্জাবি প্রতীকে ২০২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু তাজের লিটন ভুইয়া ব্লাকবোর্ড প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪১ ভোট। ২নং ওয়ার্ডে আলাউদ্দিন মুন্সী ডালিম প্রতীকে ৬১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাধাকান্ত রাজু গাজর প্রতীকে পেয়েছেন ৫৯৩ ভোট।
৩নং ওয়ার্ডে মোহসিন ফারুক বাদল পাঞ্জাবি প্রতীকে ১২৪৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রায়হানুর রহমান জনি টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে পেয়েছেন ৮৭১ ভোট। ৪নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ জাহিদুল আযহার আলম বেপারী টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ১৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম উটপাখি প্রতীকে পেয়েছেন ১২০১ ভোট।
৫নং ওয়ার্ডে সুমন তপদার পাঞ্জাবি প্রতীকে ১৫৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিটন চন্দ্র সাহা টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে পেয়েছেন ১২৮১ ভোট। ৬নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ শাহআলম উটপাখি প্রতীকে ১৩৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ রাসেল মিয়া টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে পেয়েছেন ১১০০ ভোট।
৭নং ওয়ার্ডে কাজী মনির উটপাখি প্রতীকে ২২২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এমরান মুন্সী পাঞ্জাবি প্রতীকে পেয়েছেন ৯৫৯ ভোট। ৮নং ওয়ার্ডে হাজী মো. কবির হোসেন ডালিম প্রতীকে ১২১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুরাদ হোসেন মিরন পাঞ্জাবি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৯৯ ভোট।
৯নং ওয়ার্ডে মো. আজাদ হোসেন উটপাখি প্রতীকে ১৩৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তফা কামাল পাঞ্জাবি প্রতীকে পেয়েছেন ১২৮০ ভোট। ১০নং ওয়ার্ডে মো. বিল্লাল হোসেন পাঞ্জাবি প্রতীকে ২০২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোরশেদ আলম ভুট্টো ডালিম প্রতীকে পেয়েছেন ৬৫৯ ভোট।
১১নং ওয়ার্ডে মো. সাদেকুজ্জামান টেবিল ল্যাম্ব প্রতীকে ৭৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শুকু মিয়া পানির বোতল প্রতীকে পেয়েছেন ৩২৮ ভোট। ১২নং ওয়ার্ডে মো. শাহআলম উটপাখি প্রতীকে ৬৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুল ইসলাম বেপারী পানির বোতল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩৪ ভোট।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com