নিজস্ব প্রতিনিধি:
হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ড (টোরাগড়-বদরপুর) এর বদরপুর গ্রামের বদরপুর জামে মসজিদ ভাঙ্গার প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের খুঁজে বের করে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান স্থানাীয় ও এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে এই দাবী করেন তারা।
ঘটনার বিবরনে স্থানীয় আলম, ফয়সাল, আফসার ও সবুজ জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক পৌনে দুইটার দিকে পৌরসভার সড়ক বাতিগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দেয়াল ভাঙ্গার শব্দ শুনতে পাই। পরবর্তীতে আমরা কয়েকজন মিলে মসজিদের দিকে ছুটে গেলে ৪/৫ জন লোককে দৌড়ে পালাতে দেখি। এ সময় আমাদের ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ওই দিন রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তারা জানান, মসজিদ ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে আদালতে দুইটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলার বাদী মাও. আবু সুফিয়ান খান আল কাদেরী এবং অপরটির বাদী সিরাজুল ইসলাম। এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য আবু সুফিয়ান খান আল কাদেরী তার লোকজন দিয়ে মসজিদটি ভাংচুরের চেষ্টা করেন।
তারা বলেন, এর আগের দিন হুজুরের লোকজন বহিরাগত প্রায় ৫০/৬০ জন লোক দেয়াল ভাঙ্গার নামে নিয়ে আসে। কিন্তু ঘটনাস্থলে আসার পর দেয়ালের স্থলে মসজিদ ভাঙ্গার কথা শুনে, ওই লোকজন চলে যান। এর পরের দিন রাতেই মসিজদ ভাঙ্গার ঘটনা ঘটে। এ থেকে প্রতিয়মান হচ্ছে, হুজুরের লোকজন মসজিদ ভাঙ্গার সাথে জড়িত।
এ ব্যাপারে মাও. আবু সুফিয়ান খাঁন আল কাদেরী বলেন, গত ১৫দিন যাবৎ আমি গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি। বিছানা থেকে উঠতে পারছিনা। অসুস্থতার কারনে গত তিন সপ্তাহ যাবৎ মসজিদে জুমআর নামাজও পড়াতে যেতে পারছিনা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে স্থানীয়দের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পুরাতন ও জরাজীর্ণ মসজিদটি ভাঙ্গার বিষয়টি জানতে পারেন বলে তিনি জানান।
মাও. আবু সুফিয়ান খাঁন আল কাদেরী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, যারা মাদরাসা ও মসজিদের বিরোধতা করেছেন এবং যাদেরকে আদালত কর্তৃক মসজিদের দখলীয় স্থানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তারাই এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। কারন, ওই সময় তাদের লোকজন ছাড়া ঘটনাস্থলে কেউ উপস্থিত ছিলোনা এবং তারাই মসজিদের মাইকে লুটপাট ও ভাংচুরের খবর ঘোষণা দেয়।
এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, খবর পেয়ে ওইদিন রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com