হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন বদরপুর দরবার শরীফের আওতাধীন মসজিদে গাউছুল আজম জিলানী (রা:) মসজিদে কে বা কারা তালা দেয়। -মানব খবর
নিজস্ব প্রতিনিধি:
হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ড টোরাগড়-বদরপুর গ্রামে বদরপুর দরবার শরীফ এর আওতাধীন এম.এ.এস কাদেরীয়া চিশতীয়া হোসাইনীয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসা গেইট, মাদরাসা দুইটি কক্ষ ও দরবারের মালাখানার তালা ভেঙ্গে লুটপাট এবং মসজিদে গাউছুল আজম জিলানী মসজিদে তালা দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটায় এই ঘটনা ঘটে। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয় বলে জানান, দরবার কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর এমরান হোসেন মুন্সীসহ সংবাদকর্মীদের বিষয়টি অবহিত করেন, দরবারের প্রতিষ্ঠাতা ও মসজিদের মোতওয়াল্লী আবু সুফিয়ান খাঁন আল কাদেরী।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে স্থানীয়দের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি বদরপুর কাদেরীয় চিশতীয়া হোসাইনীয় মাদ্রাসা ও এতিমখানা কমপ্লেক্সে ওরফে বদরপুর দরবার শীরফ কমপ্লেক্সে কে বা কারা মাদরাসায় লুটপাট, নতুন মসজিদে তালা, পুরাতন ও জরাজীর্ণ মসজিদটি ভাংচুর করেছে এবং খবর পেয়ে এদিন রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তিনি বলেন, দূর্বৃত্তরা মাদরাসার গেইটের তালা ভেঙ্গে মাদরাসার দুইটি কক্ষের তালা ও দরবার শরীফের মালাখানার তালা ভেঙ্গে তাবারুক রান্নার ৫টি বড় পাতিল, দুইটি সিলিং ফ্যান, মাদরাসা ও মসজিদ নির্মাণ কাজের জন্য কেটে রাখা ৪ থেকে ৫ মন রড, বেশ কয়েকটি তাগাড়ি, বালতি, কোদাল ও খনতাসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় তারা মাদরাসার বিদ্যুতের মালামাল ও পুরাতন জরাজীর্ণ মসজিদটির কয়েক স্থানে ভাংচুর করে এবং নতুন মসজিদে তালা দেয়। অথচ এ ঘটনায় স্থানীয় কিছু লোক আমার নামে মিথ্যা অপবাদ রটায়।
আবু সুফিয়ান খাঁন আল কাদেরী আরো বলেন, গত ১৫দিন যাবৎ আমি গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি। বিছানা থেকে উঠতে পারছিনা। প্রতিদিন দেশের কোন না কোন বিখ্যাত আলেম ও দরবারে ভক্তবৃন্দসহ মাদরাসা সাবেক ছাত্র ও অভিভাবকেরা আমাকে দেখতে আসছেন। অসুস্থতার কারনে গত তিন সপ্তাহ যাবৎ মসজিদে জুমআর নামাজও পড়াতে যেতে পারছিনা। পরিবারের সবাই আমাকে নিয়ে ব্যস্ত।
তিনি বলেন, এর মধ্যে মাদরাসার মালামাল লুটপাট, ভাংচুর ও মসজিদে তালা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। আমি অসুস্থতার কারনে ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। তাই আজ (বুধবার) সকালে পৌরসভার মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন রনি, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর এমরান হোসেন মুন্সীসহ সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছি।
দরবার শরীফ কমপ্লেক্সের বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা করে আবু সুফিয়ান খাঁন আল কাদেরী বলেন, যারা মাদরাসা ও মসজিদের বিরোধতা করেছেন এবং যাদেরকে আদালত কর্তৃক মসজিদের দখলীয় স্থানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তারাই এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। কারন, ওই সময় তাদের লোকজন ছাড়া ঘটনাস্থলে কেউ উপস্থিত ছিলোনা এবং তারাই মসজিদের মাইকে লুটপাট ও ভাংচুরের খবর ঘোষণা দেয়।
এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, খবর পেয়ে ওইদিন রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com