নিজস্ব প্রতিনিধি:
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের স্মরনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে সভায় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৭১ এর পরাজিত শক্তিরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। আর ৭১,৭৫ ও ২০০৪ সালের খুনিরা একই সূত্রে গাথা। তারা এদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে বিশ্বাস করে না। তারা এদেশকে পাকিস্তানি ভাব ধারায় ফিরিয়ে নিতে চায়, যেই কারনে জাতির পিতাকে হত্যার কিছুদিন পর জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এবং ২০০৪ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর হামলা চালিয়েছে এবং জাতির পিতাকে হত্যার পর জয় বাংলাকে নিষিদ্ধ করেছে।
দীপু মনি বলেন, আন্দোলন সংগ্রাম সব কিছুতেই ছাত্রলীগের ভুমিকা প্রশংসনীয়। জাতির পিতা স্বাধীনতা আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য ছাত্রলীগ গঠন করছে। কাজেই জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ছাত্রলীগকেই কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আজকে আমাদের পদ্মাসেতু হচ্ছে, আমরা সমুদ্র বিজয় করেছি স্থলসীমা চুক্তিবাস্তবায়ন করেছি এতোকিছু সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার ফলে। কাজেই এদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ধরে রাখতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে। তাহলেই এদেশ জাতির পিতার সোনার বাংলায় পরিনত হবে। মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের গড়া দল বিএনপি গনন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করে।অথচ এই জিয়াউর রহমানের সময়ে এদেশে পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছিল। সেসময় এদেশে প্রতিরাতে কারফিউ ছিলো তাহলে সেসময় এদেশে কোন গনতন্ত্র ছিলো।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জহির উদ্দিন মিজির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্স বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এ সময় তারা বলেন, ইতিহাসের প্রত্যেকটি অর্জনে ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে। ছাত্রলীগ যেকোনো দুঃসময়ে মানুষের পাশেছিলো ভবিষ্যতেও থাকবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার সোনার মানুষ গড়ার জন্য ছাত্রলীগ কাজ করবে। এসময় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সাথে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে তার মরোনোত্তর বিচার দাবী করেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন খানের পরিচালায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মজিবুর রহমান ভূইয়া, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং আসন্ন পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, শিক্ষামন্ত্রীর চাঁদপুরস্থ প্রতিনিধি অ্যাড. সাইফুদ্দিন বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হেলাল হোসাইন, চাঁদপুর সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাড. হুমায়ন কবির সুমন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ফেরদৌস মোর্শেদ জুয়েল, চাঁদপুর সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মোহাম্মদ মোতালেব।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মুহাম্মদ সোহেল রানা, চাঁদপুর সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন গাজী, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম রবিন পাটওয়ারী, হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মহন গাজী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, শাহরাস্তি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমদাদুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সরকার, যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ উদ্দিন। আলোচনা সভায় ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের নিহত শহীদদের স্মরণে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।