গাজী মমিন, ফরিদগঞ্জ :
ফরিদগঞ্জে হাজী আব্দুর রশিদ-এর নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি নিজ বসতঘরে স্ট্রোক করেন। পরিবার সদস্যগণ তাকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকায় বাড়ির পার্শ্বের ‘বড়ালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়’ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
সূত্রে জানা গেছে, হাজী আব্দুর রশিদ (৮৫) পৌর এলাকার পূর্ব বড়ালী গ্রামের মিজি বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একজন কর্মচারী। সরকারী চাকরির সুবাদে এলাকার জনসাধারণের সঙ্গে তার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। ছোট পদে চাকরি করলেও, তিনি ব্যাপক মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হন। প্রায় ২৫ বছর পূর্বে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তিনি সাত ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের জনক।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার বড় ছেলে জালাল আহাম্মেদ (৫০) ১৯৯২ সালে কাতার যান। সেখানে চাকরির এক পর্যায়ে নিজে ব্যবসা শুরু করেন। কঠিন প্ররিশ্রমের ফলে তিনি সেখানে জাতীয় পর্যায়ের একজন ব্যবসায়ী হিসেবে সাফল্য অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি কাতাওে বৃহদাকার কয়েকটি ফ্যাক্টরির মালিক। কাতার সরকার তাকে নাগরিকত্ব প্রদান করে। এদিকে, গত প্রায় দুই বছর পূর্বে বাংলাদেশ সরকার তাকে সিআইপি মর্যাদা দেয়। হাজী আব্দুর রশিদ এর আগ্রহে জালাল আহাম্মেদ গত প্রায় এক যুগ পূর্ব হতে ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন প্রান্তে অগুনতি ব্যক্তি ও পরিবারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করছেন। গত প্রায় চার বছর পূর্বে বাড়ির পার্শ্বে ‘মনোয়ারা-রশিদ মাদরাসা ও এতিমখানা’ প্রতিষ্ঠা করেন।
হাজী আব্দুর রশিদ ও তার সন্তান জালাল আহাম্মেদ এর জনপ্রিয়তায় তার প্রথম সন্তান মাজুদা বেগম বর্তমান ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ-এ ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) নির্বাচিত হন।
হাজী আব্দুর রশিদ-এর মৃত্যুতে তার পরিবার, নিকটাত্মীয়, গুনগ্রাহী, এলাকাবাসী ও উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com