ছবি: কচুয়ার দোয়টি গ্রামে নৌকা তৈরী করছেন, এককারিগর।
জিসান আহমেদ নান্নু,কচুয়া ॥
জলযানের মধ্যে নৌকার সংখ্যাই সব চেয়ে বেশি। মানুষ খুব প্রাচীনকাল থেকেই নানা রকমের নৌকা ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু বর্তমানে কালের আবর্তে ও খাল বিল ভরাট হওয়ার কারনে হারিয়ে গেছে নৌকা শিল্প। নৌকা তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি,খাল-বিল ভরাট,রাস্তা নির্মান ও আর্থিক অনটনের ফলে এ শিল্পের কারিগররা এখন পেশা ছেড়ে দিচ্ছে। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে নৌকা শিল্প। তাছাড়া আর্থিক দুরাবস্থা এবং নৌকা তৈরির উপকরণের মূল্য দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় কারিগররা তাদের প্রাচীন এ পেশা ছেড়ে দিচ্ছে।
এক সময় চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে গ্রাম গুলোতে প্রবেশ করলেই খাল ও বিলে এবং প্রত্যেক বাড়ি থেকে ঠকঠক শব্দ ভেসে আসতো। কাঠে হাতুড়ি দিয়ে পেরেক মেরে নৌকা তৈরির শব্দ শোনা যেত পুরো গ্রামজুড়ে। আজকাল সেই শব্দ আর কানে আসেনা। শত অভাব-অনটনের মধ্যেও কচুয়ার কিছু কারিগর এ ঐতিহ্যবাহী পেশাটি এখনও আকঁড়ে ধরে আছে। বাকী কারিগররা এখন পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করেছে।
একসময় কচুয়া উপজেলার সাচার,রহিমানগর,পালাখাল,দোয়াটি,আটোমোড়, বাইছারা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন বাজারে বর্ষা মৌসুমের সময় বাজারের কাছে নৌকাগুলো সারি হয়ে থাকতে দেখা যেত। তখন খাল বিলে মানুষেরা নৌকা করে বাজার গিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করতো।
দোয়াটি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক সময় বিয়ে-শাদিতে এক গ্রামের বরযাত্রী অন্য গ্রামে নৌকা সাজিয়ে নিয়ে যেত বিয়ের জন্য। স্কুল-কলেজ, হাটবাজার, মাল আনা-নেওয়ার কাজে এসব নৌকা ব্যবহার করা হত। গত ১২-১৩ বছর ধরে এ দৃশ্য আর দেখা যায় না। এখন প্রায় প্রতিটি গ্রামেই রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় নৌকার ব্যবহার অনেকটা কমে গেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com