ইমতিয়াজ সিদ্দিকী তোহা
সবাই পালালেন ভয়ে। কিন্তু পালায়নি ছাত্রসেনার কর্মীরা। মনের জোর আর সাহস নিয়ে এগিয়ে এলেন। করোনা আক্রান্তের লাশ দাফন করে এলাকায় নিয়মিত তাক লাগাচ্ছেন তারা। একটি স্বেচ্ছাসেবী টিম গঠন করে মৃত ব্যক্তিকে দাফনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পন্ন করছে ছাত্রসেনা। চাঁদপুরের শাহরাস্তির চার-পাঁচজন তরুণ। সবার পরনে নতুন সাদা পিপিই, গ্লাভস, চশমা। করোনা সন্দেহে আক্রান্ত বা মৃত ব্যক্তির লাশের শেষ গোসল,খাটে তোলা, জানাজা শেষে পরম যত্নে কবরে শুইয়ে দিচ্ছেন মরদেহ। স্বজন, সন্তানরা প্রিয়জনের শেষযাত্রা দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখছেন।
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষদের কবর দেওয়ার দৃশ্যটা এমনই। চাঁদপুরের শাহরাস্তির ০৪ জন করোনা রোগীর মরদেহ দাফন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা উপজেলার উত্তর শাখা। রবিবার (১৪জুন) উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের বলশিদ গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির চা দোকানদার শহীদুল ইসলাম (৪৫) করোনা উপসর্গে মারা যান ।
দাফন ছাড়াও ১০জন করোনা পজেটিভ রোগীকে বিভিন্ন সেবা দেয়ার কাজটিও করেছেন তারা।
তারা জানান, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফন কাফনের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের যথেষ্ট পিপিই আছে। নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেই কাজটি করবেন তারা।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা শাহরাস্তি উপজেলার উত্তর শাখার সভাপতি ও লাশ দাফনের প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ কামরুল হাসান বাবু বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আমাদের জানানো হলে আমরা করোনা আক্রান্ত বা উপসর্গের লাশ দাফন-কাফন করে থাকি।আমাদের ৩০ জন কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী করোনাভাইরাসের শুরু থেকে সেবা দিয়ে আসছেন। আল্লাহর রহমতে এখনো কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি।
কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী ও তার পরিবারের সঙ্গে বিরূপ আচরণ না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, কাল আপনি আমি যেকোন কেউই আক্রান্ত হতে পারি। সাহায্য করতে না পারেন অন্তত তাদের মরদেহ দাফনে বাধা কিংবা তাদের পরিবারকে নিগৃহীত করবেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যবিধি ও করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার সুরক্ষা নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করুন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com