শিমুল হাছান:
১০ জুন (বুধবার) দুপুরে আসা রিপোর্টে তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বুধবার আসা ৭টি রির্পোটের মধ্যে সবগুলোই নেগেটিভ আসে। যাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সহকারি মো. শরীফ খান স্বপরিবারের ও ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা সহকারি মো. ইলিয়াস হোসেনের রিপোর্টও আসে।
জানা গেছে , গত ১৪ মে শরীফ খানের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। অবশ্য এর আগ থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। পরবর্তীতে তার সংষ্পর্শে আসা ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা সহকারি ইলিয়াস হোসেন ১৬ মে ও শরিফের স্ত্রী ধানুয়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা উম্মে কুলছুমা বেগম এবং দুই পুত্র তাজদীদ শরীফ ও তাওফিক শরীফ নমুনা সংগ্রহ করলে তাদের করোনা পজেটিভ আসে ২০ মে। দীর্ঘদিন আইসোলেশনে থাকার পর ১০ জুন বুধবার দুপুরে আসা রির্পোটে মাে. শরীফ খান, তার স্ত্রী এবং দুই পুত্রের দ্বিতীয়বার রির্পোট নেগেটিভ আসে।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আশরাফ আহমেদ চৌধুরী জানান, স্বাস্থ্য সহকারি শরীফ খান, ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা সহকারি ইলিয়াস হোসেন ও শরীফ খানের পরিবারের সকল সদস্যের দ্বিতীয়বার করোনা নেগেটিভ আসায় তার এখন সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত।
এদিকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রত্যাশা জানিয়ে মো. শরীফ খান জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের একজন কর্মী হিসেবে তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবায় কাজ করেছেন। কাজ করতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবার করোনা আক্রান্ত হন। সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন, সংবাদকর্মীরা এবং যারা তাকে সাহস যুগিয়েছেন তাদের প্রত্যেককে তিনি ধন্যবাদ জানান। একই সাথে আবারো মানুষের সেবায় তিনি ফিরতে চান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com