কচুয়া প্রতিনিধি ॥
চাঁদপুরের কচুয়ার বরুচর গ্রামের অধিবাসী ও কচুয়া উত্তর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি লিয়াকত আলী পাঠানের দোকান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে দোকান পুড়িয়ে দেয়ার এ ঘটনা ঘটে। এতে দোকানে থাকা নগদ টাকা, মালামালসহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার দাবি করছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকলীগ নেতা লিয়াকত পাঠান বাদী হয়ে একই গ্রামের আলী আশ্রাফ,আনোয়ার মিয়াজীসহ ১২জনের নাম উল্লেখ ও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে শনিবার কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ মে একই এলাকার হাসান গাজী এসে তার দোকানে কর্মচারী জামাল হোসেনকে টেনে হেচড়ে মারধর করে। ২৬মে তার ভাই মাহমুদ পাঠান সন্ধ্যায় দোকান থেকে ঔষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে একই এলাকার ৪/৫জন যুবক দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। একই ভাবে ২৯মে বিবাদীরা দলবদ্ধ হয়ে রাত ৮টার সময় প্রকাশ্যে তার দোকানে সাটার্র ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ ৪ লক্ষ ৫০হাজার টাকা নিয়ে দোকান পেট্রোল দিে দোকান পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। এতে দোকানের মালামালসহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। এসময় হামলাকারীদের তোপের মুখে কোনো রকমে জীবন রক্ষা করেন বলে তিনি দাবি করেন।
স্থানীয়রা জানান, বরুচর গ্রামের পূর্ব অংশের লোকজন বিভিন্ন সময়ে পাঠান বাড়িসহ পশ্চিম অংশের লোকজনের উপর কারনে অকারনে মারধর ও হয়রানি করে। তাদের বাড়ির সীমানা হয়ে নবাবপুর-কচুয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় বলে পূর্ব পাড়ার লোকজন পশ্চিম পাড়ার লোকজনদের নানান ভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানি করে বলে অভিযোগ করেন।
অপরদিকে বরুচর গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য আলী আশ্রাফ মিয়াজীর ছেলে যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন মিয়াজী বাদী হয়ে তার দোকান ভাংচুর ও ক্ষতিগ্রস্থের অভিযোগ এনে ৭জনকে অভিযুক্ত করে কচুয়া থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আনোয়ার হোসেন গংরা জানান, মাহমুদ পাঠান তার শ^শুর এলাকার উজানী ও বহিরাগত লোকজন এনে এলাকায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়।