অমরেশ দত্ত জয়ঃ
আজ চাঁদপুর জেলার অর্ধশতাধীক গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। প্রায় শত বছর ধরে এসব গ্রামে মুসলমানরা সৌদি আরবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো পালন করে আসছে। ২৪শে মে রোববার এসব গ্রামে ঈদ উদযাপন করতে দেখা গেছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা হামিদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু বকর বলেন, একই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মরহুম মাওলানা আবু ইছহাক ইংরেজি ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ইসলামের সব ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেন। মাওলানা ইছহাকের মৃত্যুর পর থেকে তার ছয় ছেলে এ মতবাদের প্রচার চালিয়ে আসছেন। এদের মধ্যে তার বড় ছেলে মরহুম আবু যোফার মোহাম্মদ আবদুল হাই সাদ্রাভী ছিল অন্যতম।
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব দক্ষিণ ও কচুয়া উপজেলার ৪০টি গ্রামে প্রায় ৮৯ বছর ধরে এভাবে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।
যেসব গ্রামে ঈদ উদযাপন হচ্ছে তা হচ্ছে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, বেলঁচো, জাঁকনি, প্রতাপপুর, গোবিন্দপুর, দক্ষিণ বলাখাল।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার সেনাগাঁও, বাশারা উভারামপুর, উটতলী, মুন্সিরহাট, মূলপাড়া, বদরপুর, পাইকপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, কাইতাড়া, নুরপুর, শাচনমেঘ, ষোল্লা, হাঁসা ও চরদুখিয়া। মতলব দক্ষিণ উপজেলার দশআনী, মোহনপুর, পাঁচআনী এবং কচুয়া উপজেলার উজানি গ্রামসহ অর্ধশতাধীক গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।
এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। গ্রামের ছোট শিশুরা এদিক-সেদিক ঘুরাঘুরি করছে। তবে এসব বিষয় নিয়ে শিশুদের পরিবার সচেতন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে।
সকাল ৯ টায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাজীগঞ্জ সাদ্রা মাদরাসা প্রাঙ্গণে ঈদের প্রথম জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের জামায়াতে প্রতিবারের ন্যায় এবারও ইমামত করেন সাদ্রা দরবার শরিফের বর্তমান গদিনীশিন পীরজাদা মাওলানা আবু জাহের আরিফ চৌধুরী।
ঈদের জামায়াত শেষে করোনা ভাইরাস থেকে সকলে মুক্ত থাকতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
তবে এবার ঈদুল ফিতরে অন্যান্য ঈদের জামায়াতের মতো লোক সমাগম হয়নি। করোনা ভাইরাসের কারণে ঈদ গাহে মানুষ কম হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com