গাজী মমিন:
দেশব্যাপী করোনা মোকাবিলায় মানুষ ঘরে বসে থাকতে গিয়ে জীবন যাপন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ ও দরিদ্ররা অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি অনেকেই নিজস্ব অর্থায়নে গরিব-দুঃখিদের পাশে এগিয়ে আসছে। এর মধ্যে ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও বর্তমান উপজেলা কৃষক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জহির হোসেন মিজি একজন।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার সদর এলাকায় কাছিয়াড়া গ্রামের জনবান্ধব এ সমাজ সেবকের নিজস্ব তহবিল থেকে অসহায় প্রায় একশ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার স্বরূপ এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
শুধু তাই নয়, তিনি উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্বনামের সাথে প্রায় ৩০জন কৃষকের জমির সোনালী ফসল ঘরে তুলতে সহযোগীতা করছেন।
পৌর এলাকার কয়েকজন জহির হোসেন মিজির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশে কি রোগ আসলো রে বাবা, ঘর থেকে ছেলে মেয়েরা বাইরে বের হতে দিচ্ছে না। ভাগ্যিস জহির ভাই আমাদের পাশে আছে।
এদিকে জহির হোসেন মিজি জানান, আমি রাজনিতি করে জনগণের সেবারজন্য তাই কৃষলকলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিদের্শে অসহায় মানুষের পাশে থাকতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।
তিনি আরো জানান,সরকারের একার পক্ষে করোনা সংকট মোকাবেলা করা মোটেও সম্ভব না। বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, শ্রমিক, ভ্যানচালক, অটোরিক্সাচালক ও চা বিক্রেতারা। আমাদের সবার উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে সামর্থ সাপেক্ষে সমাজের এ সমস্ত খেটে খাওয়া গরিব দুঃখিদের আর্থিক সহায়তা করা। আমি যতদিন বেঁচে থাকব, সাধ্য অনুযায়ি এ সমস্ত মানুষের পাশে থাকবো ইনশাল্লাহ।
এছাড়াও তিনি সর্বসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, করোনাভাইরাস দেশে যে মহামারি আকার দারণ করছে, আমাদের সকলের উচিত আমরা সরকারের নির্দেশনা মেনে জনসমাগম এরিয়ে চলা ও সচেতনতার সাথে হোমকোয়ারেনটাইন পালন করা।