শিমুল হাছান ও গাজী মমিনঃ
ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ফেক আইডির মাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে।
ফেইকআইডিতে দেয়া পোস্টটি করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই পোস্টে থানার অফিসার ইনচার্জ এর নাম উল্যেখ করে একটি অনৈতিক অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে, কোনো যাচাই বাছাই ছাড়াই চলছে নানান কমেন্ট, আলোচনা সমালোচনা ।
খবরের সত্যতা জানার জন্য গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত এলাকায় ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে ও অফিসারের বিরুদ্ধে ফেইজবুকে আনিত অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী অভিযোগটিকে স্রেফ গুজব ও অপরাধ বলে আখ্যা দিয়েছেন। করোনা মহামারি মোকাবেলার মধ্যে পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার ষড়যন্ত্র কী না এমন প্রশ্নও করেছে অনেকে।
ফেইসবুকের ওই পোস্টে অভিযোগ করা হয়েছে ত্রাণ দেয়ার নামে থানার অফিসার ইনচার্জ এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক আচরণ করেছেন। বলা হয়েছে ওই নারীর বাড়ি উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে। পোস্টে নারীর নাম সালমা (১৯) ও তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম (৫৬) এবং বাবা পেশায় একজন চা দোকানী উল্যেখ করা হয়েছে।
কিন্তু, গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত ফেইসবুকে উল্যেখিত ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের খোঁজ নিয়েও চায়ের দোকানী রফিকুল ইসলাম নামের কোনো ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি, এমনকি ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিন ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে সালমা (১৯). পিতা: রফিকুল ইসলাম নামের কারও সন্ধান মেলেনি। কথা হয় স্থানিয় মেম্বার আলী হায়দার উজ্জল পাটওয়ারী ও এলাকাবাশী তোফায়েল পাটওয়ারী ও তুহীন বেপারী, মানিক মিয়াসহ অনেকের সঙ্গে, তারা জানায় আমাদের এলাকায় সালমা পিতা রফিকুল ইসলাম নামে কেউ নেই, আমাদের দারনা ওসি মহাদয়ের সন্মান হানী করার জন্য কেউ এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে ফেইসবুকের ওই ফেইক আইডির বিষয়ে তদন্ত চলছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com