নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের বিতরণের জন্য চাল ক্রয়ের ঘটনায় অনিয়ম ছিল উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি বাকিলা ইউনিয়নে বিতরণের জন্য চাল ক্রয়ের ঘটনায় অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে। প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে রাখা হয়েছে। কালকে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটির তিন সদস্যের একজন বলেন, ‘প্রথমত চেয়ারম্যানের নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয়কৃত চালের কথা বলা হয়েছিল। মূলত ওই চাল ক্রয় করাটাই ছিল ভুল। একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বোরখাল এলাকার ইউপি সদস্য আবুল বাশারের কাছ থেকে কাবিখার চাল ক্রয় করেন চেয়ারম্যান। ওই চালের দাম অত্যন্ত হ্রাস মূল্যে যোগশাজসে ক্রয় করা হয়। কাবিখা প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য আবুল বাশার। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে চাল বিক্রি করতে পারেন না। এটি একটি অনিয়ম।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাতের আঁধারে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় চাল বা কোনো কার্যক্রম আইনি বহির্ভূত। এভাবে কয়েকটি অনিয়ম পাওয়া গেছে। যা তদন্ত প্রতিবেদনে রয়েছে।’
জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে ইউপি সদস্য আবুল বাশার বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান আমার কাছ থেকে কাবিখার ৩ টন চাল ক্রয় করেছেন। আমি বিষয়টি অন্য কাউকে অবহিত করিনি বা প্রয়োজন মনে করিনি।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় ও আরও একটি অজ্ঞাত স্থানে চালের সন্ধানে অভিযান পরিচালনা করে প্রশাসন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযানটি হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে একদিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রকাশের নির্দেশ প্রদান করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘আমার নিজস্ব অর্থায়নে ৩০০ মধ্যবিত্তের মাঝে বিতরণের জন্য রাতে চাল, ডাল, তেল ছোলাসহ প্যাকেট প্রস্তুতের কাজ চলছিল। আমি কোনো অনিয়ম করিনি।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: মুনছুর আহমেদ বিপ্লব, মোবাইল: ০১৬১৫৩৩৪৩৭৩, ইমেইল: manobkhabornews@gmail.com