কচুয়া: কচুয়ার সাচার বাজারে করোনা উপেক্ষা করে উৎসুক ক্রেতা ও বিেেক্রতা। ছবি ( মানব খবর )
জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া ॥
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসে সরকারি ভাবে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্রে ছুটি, দোকান পাট ও বাজার বন্ধের নির্দেশ থাকলেও দোকান বন্ধ না রেখে চলছে ক্রেতা বিক্রেতান সমাগম।
কচুয়ায় উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন বাজার গুলোতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঔষধ, কাচা বাজার, মুদি দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা দিলেও সাচার বাজারে জুতা, কসমেটিক,চাউল, কাপড় দোকান,ফলের দোকানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দোকান খোলা থাকতে দেখা যায়।
এতে একদিকে যেমন করোনা ভাইরাসে আতংক সাধারন মানুষ অপর দিকে গনজামায়েত ও বাজারের লোকজনের সমাগমে ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস। সরকারি ভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও মানছেন মানুষ। অন্যদিকে দিকে করোনায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চাল, পেয়াজ, তৈল, ডাল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিজ ইচ্ছা মতো বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ মন চিত্র দেখা যায় গতকাল বুধবার সকাল থেকে সাচার বাজারে। শুধু সাচার বাজার নয় এমন অনেকে বাজার রয়েছে যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল দেয়ার পরও পরবর্তীতে দোকান খুলে বসছে দোকানীরা।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক অনেকে বলেন, প্রতিদিন খাবারের জন্য বাজার করা প্রয়োজন। আর বাজার করার করার অযুহাতে বাজারে ভীড় করছেন মানুষ। কিন্তু মহামারী করোনায় তা নিয়ম মেনে করা দরকার। এ ব্যাপারে মানুষ সচেতন না হলে কোন কিছু করা যাবেনা। তাই নিজ থেকে সকলে সচেতন হবে। অনেকে মনে করছেন, মানুষ বিনা প্রয়োজনে ও নানা অজুহাত দেখিয়ে বাজারে ঘুরাঘুরি করলে তাদের শাস্তি কিংবা বেশি বেশি জরিমানার আওতায় আনলে তা অনেকাংশে কমে যাবে। এছাড়া গনজমায়েত এড়াতে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের খোলা মাঠে বাজার বসানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার।
সাচার বাজারে সাধারন জনগন গণজময়াতের খবর পেয়ে গতকাল দুপুর ১২ টার পর পুলিশ বাজারে এসে বাজার মুখী মানুষকে সরিয়ে ফাঁকা করে দেন এবং অনেক দোকান বন্ধ কওে দেন। পাশাপাশি বিকেলে গুড়ি বৃষ্টি ও সন্ধ্যা ঘনিয়ে যাওয়ায় বাজারে ক্রেতা শূন্য দেখা যায়। তবে প্রতিদিন এভাবে যাতে বেশি জনসাধারন সমাগম না হতে পারে সেদিকে প্রশাসনের নজরদারী প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন এলাকাবাসী।